‘রূপগঞ্জের গাউছিয়ার ফুটপাতে দৈনিক আড়াই লাখ টাকার চাঁদাবাজি’ শিরোনামে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়েছে প্রশাসনের।
বৃহস্পতিবার গাউছিয়ার ফুটপাত উচ্ছেদ করতে দখলকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অভিযান চালায় ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ি। ওই অভিযানে মুহূর্তেই খালি হয়ে যায় দখল করা জায়গা। এর আগে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গাছ রোপণ ও লোহার রেলিং দিয়েও দলীয় প্রভাবের কারণে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে পারেনি প্রশাসন।
জানা যায়, রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ভুলতা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন ও গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-আমীনের নেতৃত্বে গাউছিয়া মার্কেট এলাকার মহাসড়কের দুই পাশের ফুটপাতে অবৈধভাবে দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছে।
এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবৈধ ফুটপাত বসিয়ে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করছে।
৫ শতাধিক দোকান থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৭০ লাখ টাকা চাঁদাবাজি হচ্ছে ভুলতা গাউছিয়া এলাকার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে। এত বড় অংকের চাঁদাবাজি নিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে বৃহস্পতিবার দিনভর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপরে অবৈধ ফুটপাত দখলমুক্ত করে ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ি।
এদিকে ফুটপাত ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা পজিশনের জন্য নেতাদের কাছে ১০ থেকে ৫০ হাজার করে টাকা দিয়েছি। পুলিশ হঠাৎ আমাদের উঠিয়ে দিয়েছে। আমাদের জামানতের টাকা কিভাবে উদ্ধার করব ? আমাদের তো ছেলে মেয়ে নিয়া না খেয়ে মরতে হবে। এই করোনাকালে আমরা কোথায় কাজ করব।
এ বিষয়ে ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজিম উদ্দিন মজুমদার বলেন, ভুলতা গাউছিয়া এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে আর কোনো ফুটপাত বসতে দেয়া হবে না। ব্যবসায়ীদের সবাইকে নিষেধ করা হয়েছে। আর নিষেধ অমান্য করে কেউ রাস্তায় দোকান বসালে শাস্তির আওতায় আনা হবে।









Discussion about this post