নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :

ঘটনার বিবরণে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মিজানুর রহমান জানান, নারায়ণগঞ্জ শহরের ভূইয়াপাড়া এলাকার মো: মনির হোসেনের ছেলে ফাহাদ জামিল নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্র। সে ১৭ এপ্রিল বুধবার সকালে স্কুলের উদ্দেশ্য বাসা থেকে বের হয়। স্কুল থেকে সন্ধায় বাসায় ফেরার কথা থাকলেও সে আর বাসায় ফিরেনি।
পরবর্তীতে সন্ধা ৭ টায় অপরিচিত একটি মোবাইল নাম্বার থেকে ফাহাদের বাবার মোবাইলে ফোন দিয়ে বলে আপনার ছেলেকে জীবিত ফেরত চাইলে রাত ৯ টার মধ্যে ৬০ লাখ টাকা দিতে হবে । যদি এই বিষয়টি থানায় জানানো হয় তাহলে ফাহাদকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে । একথা বলে সাথে সাথেই নাম্বারটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মিজানুর আরো জানান, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানা যায় অপহরণের পর তাকে সহ অপহরণকারীরা প্রথমে ফতুল্লার লালপুর ও পরে মুন্সীগঞ্জ এলাকাতে যায়। পরবর্তীতে র্যাবের সহায়তায় মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটের সামনে থেকে অপহৃত ফাহাদকে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে আটক করা হয় তারই বড় ভাই মারুফ জামিল (৩০), সহযোগি সোহান (২৬) ও জিসানকে (৩০)।
এমন চাঞ্চল্যকর অপরহণের ঘটনার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার দারোগা আমিনুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি লোমহর্ষক । এ বিষয়ে আরো তথ্য উদঘাটনের জন্য আপন ভাইয়ের অপহরণকারী বড় ভাই মারুফ জামিল (৩০), সহযোগি সোহান (২৬) ও জিসান ওরফে মহসিনকে (৩০) কে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে । একই সাথে ভিকটিম ছোট ভাই ফাহাদ জামিলকে ২২ দারায় জবানবন্দি প্রদান করেছে ।
আসামীদের আদালতে রিমান্ড শুনানীকালে বাদী পক্ষের আইনজীবী ও রাস্ট্রপক্ষ থেকে আদালতকে অবহিত করা হয়, পুলিশকে এই ভিকটিম উদ্ধারের ঘটনায় পুরস্কৃত করা উচিৎ । পুলিশ ও র্যাবের কারণে আরো একটি নৃশংস ঘটনার জন্য শহরবাসী আতংকিত হয়ে পরতো । এ সময় অনেকেই পুলিশ ও র্যাবের ভুমিকার জন্য ধন্যবাদ জনান আইনিজীবীদের অনেকেই । আদালতে দাড়িয়ে অনেকেই আরো বলেন ভিকটিম যথা সময়ে উদ্ধার না হলে হয়তো আরেকটি ত্বকীর মতো ঘটনা ঘটে যেতে পারতো । এ জন্য র্যাব ও পুলিশের প্রতি রইলো সাধুবাদ ।









Discussion about this post