জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না এমন ঘোষনা দিলেও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুৃরুতর অসুস্থতার মধ্যেও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার দলের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নারায়ণগঞ্জের একটি কুচক্রী মহলের নানা প্রলোভনে পাতা ফাঁদে পা দিয়ে উল্টো দলের গ্রীন সীগনাল পেয়েছেন (!), শীর্ষ নেতাকে অবহিত করা হয়েছে (!), মহাসচিব নারায়ণগঞ্জে (নাসিক নির্বাচনে) আসছেন (!) বিএনপির নেতাকর্মীরা নাসিক নির্বাচনে না আসলে নারায়ণগঞ্জে থেকে বের করে দেয়ার হুমকিসহ নানা প্রোপাগান্ডার সকল তথ্য পেয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ । অ্যাডভোকেট তৈমূল আলম খন্দকার ও তার সহযোগিদের এমন নানা জারিজুরি ফাঁস হয়ে পরায় বিপাকে পরতে যাচ্ছেন বিএনপির এই নেতা । এমন মন্তব্য নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির একজন শীর্ষ নেতার
দলের নির্দেশনা না মেনে নাসিক নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার কারণে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়কের পদ থেকে তৈমূর আলম খন্দকারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তার পরিবর্তে আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করবেন এই কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে বলে বিএনপি থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানিয়েছেন, ‘উনি (তৈমূর) নির্বাচন করছেন। তার জন্য তো দলের সাংগঠনিক কাজ থেমে থাকতে পারে না। তাই মনিরুল ইসলাম রবিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’ তবে, এর বেশি তিনি আর কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, ২৫ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় বিএনপি নারায়ণগঞ্জ বিএনপির কয়েকজন নেতাকে ডেকে পাঠান। দেশব্যাপী ২৮ ডিসেম্বর যে কর্মসূচি হবার কথা ছিল সে প্রসঙ্গে নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তবে, তৈমূর আলম নির্বাচনে অংশ নেওয়াতে ২৮ ডিসেম্বরের ওই কর্মসূচি বাতিল করতে বাধ্য হয় কেন্দ্র। কেননা, এদিন যদি বিএনপি নারায়ণগঞ্জে সমাবেশ করেন তাহলে সেটি সরকার তৈমূর আলমের নির্বাচনী সভা বলে প্রচার করতে পারে। কিন্তু তৈমূর আলম খন্দকারের এই নির্বাচনের সাথে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। সে কারণে তারা এদিন সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হোন। এবং পরবর্তীতে এই সমাবেশটি সোনারগাঁয়ের দিকে করার কথা রয়েছে। যদিও তৈমূর চেয়েছিলেন এটি জালকুড়ির দিকে করাতে। যাতে তিনি নিজের নির্বাচনী সভা বলে চালিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু কেন্দ্র সে ফাঁদে পা দেয়নি।
এদিকে ঢাকার সভাতে তৈমূর আলম খন্দকার উপস্থিত না হওয়াতে এ নিয়েও কেন্দ্র সমালোচনা করেছে। অনেক নেতাই তার কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতারাও কেন্দ্রকে জানিয়েছেন, তৈমূরের নির্বাচনের কারণে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়েছে। এভাবে সংগঠন গতিশীল হতে পারে না। কেননা, এই নির্বাচনের সাথে যেহেতু বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই, সেহেতু তার জন্য দলে সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থবির হবে সেটি অপ্রত্যাশিত।
এদিকে অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, এই নির্বাচন কমিশনের অধিনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না। গত দেড় বছর ধরে বিএনপির এমন সিদ্ধান্ত। কিন্তু তৈমূর আলম খন্দকার দলের এই সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হয়েছেন। যা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের শামিল। এ কারণে তার পদ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে কেন্দ্র। তবে, ২৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন তিনি যদি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করেন তবে, দল তাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।









Discussion about this post