সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ থেকে রবিউল হোসেনকে বহিস্কার করা হয়েছে ।
জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নেতা মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ কে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘটনায় তাকে বহিস্কার করা হয়েছে । একই সাথে তাকে স্থায়ীভাবে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কারের সুপারিশ করতে চিঠি ইস্যু করতে আদেশ হয়েছে।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের উপস্থিতিতে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় বহিস্কারের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় উপস্থিত একাধিক সূত্র থেকে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
রবিউল হোসেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের উত্তর পন্থী নেতা হিসেবে পরিচিতি। সংসদ শামীম ওসমান ঘনিষ্ঠ।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রবিউল হোসেন ২৭ ডিসেম্বর বিএনপি নেতা মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের সমর্থনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন। এই ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। যা জানার পর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগও এই ঘটনায় চরমভাবে ক্ষুব্ধ হয়। যার ফলশ্রুতিতে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানায়, তৈমূর আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার ছোট ভাই মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। এবারও তিনি একই পদে একই ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করছেন। তার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলাও রয়েছে। এই মামলায় তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আছেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে চাউর হওয়া গুঞ্জন থেকে জানা যায়, তৈমূরকে আইভীর বিরুদ্ধে একটি বিশেষ পরিবার নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। শর্ত হিসেবে তার নির্বাচনী ব্যয় এই পরিবার থেকে বহন করা হবে এবং তৈমূরের ছোট ভাই খোরশেদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রবিউল হোসেনকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। শর্ত অনুযায়ি ২৬ ডিসেম্বর রবিউল হোসেনকে শহরের একটি ক্লাবে ওই পরিবার ঘনিষ্ঠ দুজন ডেকে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে ওই পরিবারের অন্যতম সদস্য খোরশেদকে সমর্থন জানিয়ে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন রবিউলকে। যদিও শুরুতে রবিউল প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে রাজি ছিলেন না। পরে ওই পরিবারের প্রচ্ছন্ন হুমকিতে তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছেন বলেও শোনা গেছে।
এমন গুরুতর অভিযোগের বিষয়ে বারংবার নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও তিন ফোন রিসিভ না করায় চাউর হওয়া এমন গুঞ্জনের বিষয়ে কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নাই ।









Discussion about this post