উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকার পরও বারবার এমন নির্দেশনাকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কের (বঙ্গবন্ধু সড়ক) ফুটপাত দখল করে পুরো নগরবাসীকে জিম্মি করে রেখেছে কয়েক শত হকার । আর এই দরিদ্র হকারদের জিম্মি করে নামধারী চিহ্নিত কয়েকজন চাঁদাবাজ বিরামহীনভাবে কোটি কোটি টাকার চাঁদা আদায় করে বিশেষ পেশার নামধারী, রাজনীতিবিদ, সিটি কর্পোরেশনের অসাধু কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে আসছিলো ৷
অধিক মাত্রায় দখলদারি ও জনভোগান্তি চরম আকার ধারণ করলে পুলিশ হাইকোর্টের আদেশের দোহাই দিয়ে উচ্ছেদ নামক ভানুমতীর খেলার নাটক মঞ্চায়ন করতে দেখা যায় । আর এমন উচ্ছেদ উচ্ছেদ নাটক মঞ্চায়নের পর উচ্ছিষ্ট ভোগী অসাধুদের পরামর্শে শহরব্যাপী মিছিলের আয়োজন করে হকার নেতা নামধারী চাঁদাবাজ চক্র ।
এমন ঘটনার ধারাবাহিকতায় হকার নেতা নামধারী চাঁদাবাজরা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের বাড়ি ঘেরাও করাও হুমকির পর এবার নারায়ণগঞ্জ শহর অচল করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে হকার নেতা নামধারী চাঁদাবাজরা ।
হকার নেতা নামধারী চাঁদাবাজদের এমন হুমকির পর নগরীর অনেকেই বলেছেন, হকারদের দিয়ে কারা কি করছেন তা সকলেই খুব ভালো জানেন । মুল উদ্দেশ্য কি তা এই শহরের সকলেই জানলেও প্রশাসন কি করছেন তাও নগরবাসী খুব ভালো করেই অনুধাবন করছেন । নারায়ণগঞ্জ এই নগরীকে অশান্ত করতে হকারদের দিয়ে অশান্ত করতে কি কি চক্রান্ত হচ্ছে তাও সাধারণ মানুষের অজানা নয় ।
বৃহস্পতিবার ফের নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতে বসার দাবিতে ফের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে হকাররা। এ সময় নারায়ণগঞ্জের সকল শ্রেণীর হকারদের নিয়ে বিশাল কর্মসূচী করার হুঁশিয়ারি দেন হকার নেতারা।
৪ মার্চ বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে জেলা হকার্স সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, হকার্স সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক আসাদুল ইসলাম আসাদ, জেলা হকার্স লীগের সভাপতি রহিম মুন্সি প্রমুখ।
জেলা ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস বলেন, আমরা প্রতিদিন মিছিল করছি এবং প্রতিদিনই মিছিল করতে হবে। শান্তিপূর্ণ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের মিছিল করে যেতে হবে। আমরা কোন অন্যায় করি নাই বরং আমরা বলেছিলাম বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আমাদের ফুটপাতে বসার সুযোগ দেন। আপনারা আলোচনার মাধ্যমে জনগণের হাঁটা চলার কোন সমস্যা না হয় এমন একটা সিস্টেম করে দেন এবং সেই সিস্টেম মত হকাররা বসবে। আপনারা হকারের পেটে লাথি মেরে, তাদের রুটিরুজি বন্ধ করে শহরের সৌন্দর্যবর্ধন করবেন তা আমরা মেনে নিবো না। বলেছিলেন হকারদের পুনর্বাসন করবেন, ১০ তলা মার্কেট করবেন ও বিশাল জায়গা হকারদের দিয়ে দিবেন। অথচ সেখানে দেখছি আপনারা প্রতিদিন পুলিশ দিয়ে হকার উচ্ছেদের আয়োজন করছেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা আপনাদের কথানুযায়ী এসপির কাছে গিয়েছি। একবার নয় বরং দশবারের বেশি গিয়েছি এসপির কাছে, ডিসির কাছে কয়েকবার যাওয়া হয়েছে, এমপির কাছে যাওয়া হয়েছে ও সিটি করপোরেশনেও কয়েকবার স্মাারকলিপি দেওয়া হয়েছে কিন্তু আপনারা কোন সমাধান করতে পারেন নাই। আপনারা মনে করেছেন পুলিশ দিয়ে লাঠিপেটা করে সমাধান করবেন কিন্তু হকাররা সেটা মেনে নিবে না। সকল শ্রমিক সংগঠনের সাথে কথা বলে আমরা বিশাল কর্মসূচীর আয়োজন করবো। আমাদের দাবি মেনে না নিলে আমরা নারায়ণগঞ্জকে অচল করে দিবো। আপনারা কেউ মনোবল হারিয়েন না, আমরা অতি শীঘ্রই কর্মসূচী নিয়ে আসছি। প্রয়োজন হলে সারা নারায়ণগঞ্জের ৪০ হাজার হকারদের নিয়ে বিশাল কর্মসূচীর আয়োজন করা হবে।









Discussion about this post