রূপগঞ্জে দীর্ঘদিন যাবৎ ভূমিদস্যুতার কারণে নানা হামলা, মামলা, অপহরণ, গুম, খুন, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের ঘটনা ঘটলেও স্বার্থান্বেষী মহলের বিশাল থাবা থেকে রক্ষা করা যায় নাই। ভূমিদস্যু চক্র নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন তথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজের পাশাপাশি শীর্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দদের ম্যানেজ করে তাদের অপরাধ সাম্রাজ্য চালিয়েই যাচ্ছে ।
অতি সম্প্রতি কুখ্যাত একটি চক্র নতুন করে উচ্চ আদালত ও রাস্ট্রের সকল বিধিনিষেধ কে উপেক্ষা করে ভূমিদস্যুতা অব্যাহত রাখায় উচ্চ আদালতের নজরে আনার পর ভূমিদস্যুরা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে । এরপর প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে কয়েকটি গণমাধ্যম নামধারী মুখপাত্র নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে নিজেদের ভূমিদস্যুতা অব্যাহত রাখার চেষ্টা চালায় ।
এরই ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া, ভোলাবো, দাউদপুর ও রূপগঞ্জ ইউনিয়নের তিন ফসলি জমি ভরাট করার প্রতিবাদে ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৮ নভেম্বর শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রূপগঞ্জ ভূমিদস্যু প্রতিরোধ আন্দোলনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রমিক নেতা রাজেকুজ্জামান রতন, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও রূপগঞ্জের কৃষকদের জমি রক্ষা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান অগ্রনায়ক অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।
এসময় বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে রূপগঞ্জে কৃষকদের জমি ভরাট করা হচ্ছে। তারা হাইকোর্টের নির্দেশনা মানছে না। এই ব্যাপারে আমরা প্রধামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। যেন কৃষকরা তাদের ভিটে বাড়ি ফেরত পান। সেই সাথে রূপগঞ্জের কৃষকদের জমি রক্ষা আন্দোলনের অন্যতম প্রধান অগ্রনায়ক অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচারে লিপ্ত হওয়ার তীব্র ও প্রতিবাদ জানাই।









Discussion about this post