নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
জেলার সদর উপজেলার সরকারী দুইটি বালক ও বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে একদিকে যেমন অভিভাবকদের অনেকেই আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে । অপরদিকে অসাধু শিক্ষক শিক্ষিকাদের অনেকেই দীর্ঘদিন এমন বাণিজ্যের পর বাড়তি বোনাস হিসেবে ভর্তি ও কোচিং বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে । যাদের কোন অবস্থাতেই থামানো যাচ্ছে না ।
সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পর অনুরূপ কায়দায় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে আই, ই, টি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রমজান, শাখাওয়াত ও আলমগীরের ভর্তি ও কোচিং বাণিজ্যের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেলেও এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন একেবারেই নিরব ভূমিকায় অবস্থান করছেন । শারিরীক বিষয়ক শিক্ষক রমজান আলী একেবারেই প্রকাশ্যেই আই, ই, টি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাত্র ২০ গজের মধ্যে প্রায় ২ শত শিশুকে কোচিং করানোর ঘটনায় পুরো এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠলেও প্রশাসনের এমন নীরবতা হতবাক করেছে এলাকাবাসীকে।
জানা যায়, শিক্ষক শওকত আলী ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের কম্পাউন্ড ও তার আশেপাশের এলাকা নিজেদের পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করে কোন ধরনের আইনকে তোয়াক্কা না করে ভর্তি ও কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে সকলকে অনুরূপ বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে । যা এখেনো অব্যাহত রয়েছে বলেও জোড়ারো অভিযোগ থাকলেও জেলা প্রশাসনসহ কোন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে খোজ নেয়ারও প্রয়োজন মনে করে নাই ।
উল্টো সরকারী এই বিদ্যালয়ের কম্পাউন্ডে দাড়িয়ে শওকত আলীর শ্যালিকা বীরদর্পেই নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেটকে বলেছেন, শওকত আলী বিদ্যালয়ের ছাত্রীদেরকে ম্যানেজ করেন আর সরকারী বাসা ও্ আলাদা কোচিং সেন্টারে তার বোন শামীমা নাসরিন ভর্তি ও কোচিং বাণিজ্যের বিষয়টি দেখেন । ভর্তি ও কোচিং বাণিজ্যের বিষয়টি অনৈতিক বলায় প্রতিবেদককে শামীমা নাসরিনের বোন প্রায় ৩০ মিনিটের আলোচনাকালে আরো বলেন , তারা কোচিং ও ভর্তি বাণিজ্য না করলে কি তরকারী বিক্রি করে খাবেন ? এমন ঔদৌত্তপূর্ণ বক্তব্য প্রচারের পরও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পলান করায় অনেকের মাঝে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ।
জোড়ালো অভিযোগের পর গত কয়েকদিন আরো ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে সদর উপজেলার হাজিগঞ্জের আই, ই টি সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে খোজ নিয়ে জানা যায় আরো চাঞ্চল্যকর খবর । শারিরীক বিষয়ক শিক্ষক রমজান আলী নিজেই প্রায় ২শত জন শিশুকে নিয়ে ভর্তির জন্য কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন । এমন একটি ভিডিও হাতে আসার পর প্রশাসনের অনেকের নজরে আনা হলেও কেউ টু শব্ধ করতে নারাজ ।
আই, ই টি সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের মাত্র ২০ গজের মধ্যে এমন বিশাল বাণিজ্যের খবর কি কোন কর্তৃপক্ষ রাখেন না ? সকলেই কি অন্ধ ? নাকি এই বিশাল বাণিজ্যের ভাগ ভাটোয়ারার একটি অংশ শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনেকের টেবিলে পৌছে যায় বলেই কেউ এমন অপরাধের বিষয়ে ব্যবস্থা নেন না ? এমন প্রশ্ন নগরবাসীর মুখে উচ্চারিত হচ্ছে ।









Discussion about this post