নারায়ণগঞ্জ ৩ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা কর্তৃক ১৫ আগষ্টের শোক দিবসের মেঘনা থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত সাঁটানো প্রায় ৩শ ব্যানার কে বা কারা ফেস্টুন রাতের আধারে ছিড়ে ফেলেছে । এমন ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে পুরো জেলা জুড়ে । কেউ বলছেন অভ্যন্তরীন কোন্দল, আবার কেউ বলছেন জামায়াত শিবির ও হেফাজত চক্রের কোন না কোন চক্রান্তের ফল হতে পারে এটি, আবার কেউ কেউ বলছেন এতো ব্যানার ফ্যাস্টুন সাটানোর পর লাইম লাইটে আসার জন্য এমন ঘটনা ঘটতে পারে ! এমন অসংখ্য মন্তব্য ছাড়াও সাধারণ মানুষ বলছেন রাজনীতিতে শেষ বলে কোন কথা নাই । এটি কোন রাজনীতি ?
ন্যাক্কারজনক এমন ঘটনার সুষ্ট তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিচাররে আওতায় নিয়ে আসার দাবী উঠেছে স্থানীয় সধারণ মানুষের পক্ষ থেকে
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ১৫ আগষ্ট স্বপরিবারসহ খুন করেছিল খন্দকার মোশতাক। সেই খন্দকার মোশতাকের প্রেতাত্মারা নারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ের দুই দুই বারের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার Leakot Hossain Khoka ১৫ আগষ্টের শোক দিবসের মেঘনা থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত সাঁটানো প্রায় ৩শ ব্যানার কে বা কারা ফেস্টুন রাতের আধারে ছিড়ে ফেলেছে।
বৃহস্পতিবার (১২আগস্ট) গভীর রাতে সোনারগাঁ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সংসদ সদস্যর উদ্যোগে টাঙানো ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা হয়। ব্যানারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা
এ ধরণের ন্যাক্কারজনক কাজ একমাত্র মোস্তাকের বংশধররাই করতে পারে. জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবদ্দশায় জেল-জুলুম রাজনীতি ত্যাগ তিতিক্ষা বুদ্ধির মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল। তার সহচর মোস্তাক দেশ বিরোধী চক্রান্ত করে আমাদের প্রিয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পরিবারকে হত্যা করেছিল। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের অনেকেই ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার মেঘনা থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয় পার্টির নির্মাণ করা তোরণ নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা। তারা বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ ব্যানার কেটে ফেলেছে। তোরণের নানা অংশ ক্ষতি করেছে। কাঁচপুর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সামনে নির্মাণকৃত তোরণে এক অংশের ব্যানার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও নির্মিত একটি তোরণ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম ইকবাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। এখনো সেই সব জঘন্য মন মানসিকতার ব্যক্তিরা আমাদের সমাজে আছে ভাবতেই অবাক লাগে কীভাবে এমন নোংরা কাজ করতে পারে তারা,যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসে তারা এমন ঘৃণ্য কাজ করতেই পারেনা ’অবিলম্বে এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান তিনি।









Discussion about this post