দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় জুড়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ ছাড়াও র্যাবের নাম ব্যবহার করে পুরো জেলায় ব্যাপক চাঁদাবাজি অভিযোগ রয়েছে পুলিশের এক সময়ের কন্সস্টেবল নুরুল ইসলাম ওরফে ক্যাশিয়ার নুরু বিরুদ্ধে ।
যাকে পুরো নারায়ণগঞ্জের ডিবির ক্যাশিয়ার নুরু হিসেবেই সকলের কাছে অধিক পরিচিত ।
এই ক্যাশিয়ার নুরু মিয়া নারায়ণগঞ্জ জেলার সাত টি থানা এলাকার বৈধ ও অসাধু ব্যবসায়ী ছাড়াও কুমিল্লার বিশাল একটি চোরাইকারবারী চক্র নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ কে নিরাপদ জোন হিসেবে ব্যবহার করে যাচ্ছে ।
প্রতি মাসে এই নুরু মিয়া কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের পর নারায়ণগঞ্জ পুলিশ অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা, ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ডিবির প্রত্যেক দারোগা, নারায়ণগঞ্জ জেলার কয়েকজন বিশেষ পেশার নামধারীদের নিয়মিত বখড়া দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে অপকর্ম ।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছাড়াও খোদ জেলা পুলিশের এসপি জায়েদুল আলমের নাম ব্যবহার করে দাপটের সাথে চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে নুরু মিয়া ।
পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের গ্রামের বাড়ি আর ক্যাশিয়ার নুরু মিয়ার গ্রামের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ার সুযোগে আরো বেপরোয়া হয়ে চাঁদাবাজির মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে নুরুল ইসলাম নুরু ।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরতলীতে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি করে বেড়ায় এই সাবেক পুলিশ কনস্টেবল নুরুল ইসলাম নুরু।
সকলের কাছে নুরু ক্যাশিয়ার হিসেবে তিনি পরিচিতি। সকল ধরনের অপরাধীদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে নুরুর। আর অপরাধীরা বুঝতে পারে পুলিশ থেকে বাঁচতে হলে নুরুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে তা না হলে কোনো রক্ষা নাই।
তাই নুরুকে ম্যানেজ করে ডাকাত, চোর, মাদক বিক্রেতা, পরিবহন সেক্টর, তেল চোর, গ্যাস চোর, জুয়া, মদের আখড়া, নিতাইগঞ্জের অসাধু ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অপরাধীরা বুক ফুলিয়ে অপরাধ করে বেড়ায়। নুরু শুধু অপরাধীদের কাছ থেকে টাকা তুলতো না বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে বেড়ায় বলেও জোড়ালো অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশের নামে চাঁদাবাজি করে নুরু আজ কোটি কোটি টাকার মালিক। তার এ শহরে ৫/৬ টি হাইস গাড়ি, ৪ থেকে ৫টি বাস ও ফতুল্লা পঞ্চবটি এলাকায় বাড়ি রয়েছে। আর তার আয়ের উৎস নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন ।
২০১৭ সালের ২১ জুন বুধবার এমন বিশাল চাঁদাবাজির ঘটনায় ডিবি পুলিশের হাতেই গ্রেফতার হয় এই ক্যাশিয়ার । সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানোর পর কারাগারে কয়েকদিনের জন্য ঠাই হয় নুরুর । জামিনে মুক্তি পেয়ে এরপর আর পিছু তাকাতে হয় নাই ক্যাশিয়ার নুরু কে ।









Discussion about this post