নারায়ণগঞ্জে সদর উপজেলায় অপহরণের অনেক ঘটনা নানা কারণে ধামাচাপা পরে গেলেও এবার অপহরণের ১দিন পর এক কিশোরকে উদ্ধার করেছে র্যাব-১১।
একই সাথে অপহরণ চক্রের ১১ কিশোরকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফতুল্লার চাঁনমারি এলাকায় ৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ৭টায় এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১০ অক্টোবর র্যাব-১১ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চাঁনমারির মাউরাপট্টি সেকশনমাঠ এলাকা থেকে গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ১। মোঃ রাসেল মিয়া(১৮), ২। মোঃ জালাল (১৮), ৩। মোঃ আমিনুল ইসলাম (২৩), ৪। মোঃ জনি শফিকুল ইসলাম (১৮) ৫। মোঃ জাকির হোসেন (১৮) ৬। মোঃ আনোয়ার (১৮), ৭। মোঃ জুয়েল রানা (২২) ৮। মোঃ আবু নাঈম (১৮) ৯। মোঃ ফেরদৌস ইসলাম (১৮), ১০। মোঃ আব্দুল্লাহ শুভ (২৪) ও ১১। মোঃ সাইফুল ইসলাম শান্ত (১৮)।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, তারা সবাই দুষ্কৃতিকারী ও কিশোর গ্যাং গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তা ঘাটে পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে সংঘাত সৃষ্টি ও জনমনে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে আসছিল। এছাড়াও ঐ এলাকায় কোন অপরিচিত লোক আসলে জিম্মি করে মূল্যবান জিনিসপত্র জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়।
গত ৮ অক্টোবর কিশোর গ্যাং গ্রুপের উক্ত সদস্যরা অপর এক কিশোরকে অপহরণ করে চাঁনমারী মাউরাপট্টি সেকশনমাঠ এলাকায় একটি পরিত্যক্ত ভবনে আটকে রাখে এবং মারধর করে তার কাছে থেকে ৩০০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ভিকটিম এর মায়ের কাছ ফোন করে ৪০০০০টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ভিকটিম এর মা ১০০০০টাকা দিবে বলে জানায়। তারপর ভিকটিম এর মা র্যাবের কাছে একটি অভিযোগ করে। ভিকটিম এর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-১১ ঘটনার সত্যতা পেয়ে ০৯ অক্টোবর রাত অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরকে উদ্ধার করে। সে সময় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র্যাব জানায়।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে নারায়ণগঞ্জের একজন প্রভাবশালী সংসদ সদস্যের নাম ব্যবহার করে তিনদিন এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে মুক্তিপন আদায় করে ক্ষমতাধর বিএনপির নামধারী সন্ত্রাসীরা । পরে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর জীবন রক্ষার্থে মুক্তিপণ দিলে ছাড়া পায় ওই ব্যবসায়ী ।









Discussion about this post