নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় ইলেক্ট্রো মার্ট লিমিটেডের কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আজ রোববার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস আটটি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টায় চেষ্টায় উপজেলার পুরাতন টিপরদি এলাকায় কনকা ইলেকট্রনিক্স কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিভেন্স সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন । তিনি বলেন, ‘সকাল পৌনে ১১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল।’
এলাকাবাসী জানান, সকালে শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেওয়ার সময় কারখানার তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। শ্রমিকেরা দৌড়ে কারখানা থেকে বের হয়ে আসেন। ভেতরে কেউ আটকা পড়েছেন কি না জানা যায়নি।
আগুন নেভাতে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের সোনারগাঁও, বন্দর, ডেমরা স্টেশনের ১২টি ইউনিট ও ৮০ জন কর্মী। এতে সহায়তা করে পুলিশ, র্যাব, স্বেচ্ছাসেবী ও স্থানীয়রা।

শ্রমিকরা জানান, সকালে কাজে যোগদান করার পরপরই আগুন লাগে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক। শ্রমিকদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার আতিক ও আরেকজন (নাম জানা যায়নি) আহত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করেছি। আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে প্রধান ফটক নির্মাণাধীন থাকায় ভেতরে প্রবেশে আমাদের বেগ পেতে হয়েছে তাই আমাদের গাড়ি ভেতরে প্রবেশে সমস্যা হয়। আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষকণিকভাবে জানানো সম্ভব হচ্ছে না।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে, ডাম্পিং চলছে। পুলিশ ও স্থানীয়রাও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তা করেছেন।
সোনারগাঁও ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ সুজন কুমার হাওলাদার জানান, ঘটনাস্থালে সোনারগাঁও, বন্দর, ডেমরা স্টেশনের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে।
এলাকাবাসী আরো জানান, ‘সকাল শ্রমিকেরা যখন কাজে যোগদান করছিল তখন কারখানার তৃতীয় তলায় এসি মেরামতের রুমে আগুনের সূত্রপাত হয়। আর মুুহূর্তে তা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে শ্রমিকেরা দৌড়ে কারখানা থেকে বের হয়ে আসে। তবে কেউ ভেতরে আটকে ছিল কিনা জানা যায়নি। তাছাড়া আগুন কীভাবে লেগেছে কেউ কিছু বলতে পারেনি।
অগ্নিকান্ডে কারখানার যন্ত্রাংশ, কাঁচামালসহ ভেতরের অধিকাংশ মালামাল পুড়ে গেছে। আগুনের তাপে ভবনের সকল জানালার কাঁচ ভেঙ্গে গেছে।









Discussion about this post