হাতি যদি ফান্দে পরে চামচিকাও …….( প্রকাশ অযোগ্য শব্দ ) মারে ! এমন কথা বলেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির একজন নেতা ।
যিনি একই সাথে নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সামিতির সিনিয়র নেতা হিসেবে দায়িত্বও পালন করেছেন ।
নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির এই নেতা ১৫ মিনিটি ৫০ সেকেন্ডের আলোচনাকালে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তৈমূর আলম খন্দকার একজন প্রবীন রাজনীতিবিদ । তাকে বিএনপি ও আওয়ামীলীগের প্রায় সকল আইনজীবী সমিহ করেন । করেন শ্রদ্ধাও । আদালত প্রাঙ্গনে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান তাকে (তৈমূর আলম খন্দকারকে) দেখলে বড় ভাই হিসেবে সম্বোধন করে। যা সকলেই জানেন ।
একই সাথে সেলিনা হায়াৎ আইভী পরিবারের সাথে তার/তাদের সম্পর্ক খুবই আন্তরিকতা ছিলো। নির্বাচনকে সামনে রেখে কি করলেন তৈমূর ? কি জবার দেবেন তিনি ? বিএনপি দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল হলেও এই দলটিকে কি তিনি (তৈমূর) সার্কাসের দল হিসেবে পরিণত করার চেষ্টা করেছেন ? কার ইশারায় তিনি এমন করলেন ? একজন খেলারামের নাম শোনা যাচ্ছে জোরেশোরে । তবে কি এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করছেন ওই খেলারাম ?
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে এই আইনজীবী নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেটের এর প্রতিবেদকের সাথে আরো বলেন, খেলারামের খেলায় বিএনপির নেতাদের বিপাকে ফেলে নানাভাবে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে কুচক্রি মহল। অ্যাডভোকেট তৈমূর প্রবীন আইনজীবী হলেও তার জীবনে এমন কোন নির্বাচন আছে যেখনে তিনি জয়ী হয়েছে। ওই খেলারামের কথায় নাচতে নাচতে নাসিক নির্বাচনে মাঠে নেমে এখন দেখছেন কেউ নাই তার পাশে। এটিএম কামাল রিক্সায় ফুল ব্যানার টাঙ্গিয়ে নির্বাচণে অংশ গ্রহণ করে সার্কাসের জোকারের মতো বিএনপি কে সমালোচনায় ফেলেছিলেন। আবার সেই এটিএম কামালসহ আরো কয়েকজনের দূতিয়ালির ফাঁদে পা দিয়ে এখন হাতি নিয়ে ফান্দে পরেছেন তৈমূর ।
এমন ফান্দে পরার কারণে এখন বিএনপির অনেক নেতারাও তৈমূর কে নিয়ে সমালোচনা করছেন । যা সকলের জন্য বিব্রতকর। মামুন মাহমুদ যিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব, তিনিও তৈমূর আলম খন্দকারকে নিয়ে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার বিল্ড আপ করতে নানাভাবে তাল মিলিয়ে যাচ্ছেন তৈমূর বিরোধীদের সাথে । তাইতো সকলেই এখন বলে বেড়াচ্ছে হাত্তি যদি ফান্দে পরে, চামচিকাও ……………মারে !
এই তৈমূর আলম খন্দকার ই এক সময় ঠিক মুখ খুলে ডেবিডের ক্রসফায়ারের মতো বলবেন খেলারামের নাম।








Discussion about this post