কারাগারে বন্দি থাকাবস্থায়ও থেমে নেই এক সময়ের কুক্ষাত অপরাধীদের গডফাদার জিকে শামীম । একদিকে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হতে যত টাকাই লাগুক বিনিয়োগ করতো একটি চক্রকে মাঠে সক্রিয় রেখেছেন জিকে শামীম। অপরদিকে সরকারের নির্দেশে জিকে শামীমের হাজার হাজার কোটি টাকার জব্দ করা ব্যাংক একাউন্ট খুলে দিতেও প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে জিকে শামীমের প্রভাবশালী এই চক্রটি ।
আর এমন অপকর্মের পাশাপাশি পুনরায় গণপূর্ত বিভাগ থেকে হারানো জৌলুশ ফিরে পেতে যারপরনাই চেষ্টা চালাচ্ছে কুক্ষাত এই অপরাধীর সহযোগীরা ।
যে কোন মুল্যে সেই “সোনার হরিণ চাই” মন্ত্র সামনে রেখে এগিয়ে চলছে জিকে শামীম ও তার বাহিনী । তারই ধারাবাহিকতায় গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম কে যে কোন মূল্যে বিতারিত করতে চালাচ্ছে নানা অপপ্রচার !
নিজস্ব প্রতিবেদক:
গণপূর্ত অধিদপ্তরে একচ্ছত্র রাজত্ব ছিল জিকে বিল্ডার্সের মালিক এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমের। নিজের প্রয়োজনে গড়ে তোলেন সমান্তরাল প্রশাসন। ফলে তার ইশারায় চলত পুরো অধিদপ্তর।
বড় বড় সব প্রকল্পই বাগিয়ে নিতেন নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে। ছোট কাজেও ভাগ বসাতেন, কমিশনের বিনিময়ে বণ্টন করতেন পছন্দের ঠিকাদারদ । কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
ক্যাসিনো গ্রেপ্তারের পর থেকে হারাতে থাকেন একের পর এক নিজের রাজত্ব ও ক্ষমতা। তার প্রতিষ্ঠানের নামে চলমান ১৭টি প্রকল্পের কার্যাদেশও বাতিল করে দিয়েছে সরকারর গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম।
এর মধ্য দিয়েই গণপূর্ত অধিদপ্তরের কার্যত জিকে শামীম অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়।
সম্প্রতি প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম নামে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন বিভিন্ন ভূইফোঁড় অনলাইন ও পত্রিকা। যারা বিভিন্ন সময়ে জিকে শামীমসহ ক্যাসিনো সম্রাটদের সাথে সখ্যতা রাখার অভিযোগ রয়েছে ।
তবে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত এসব মিথ্যে অভিযোগ সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র কেউ দেখাতে পারেনি এবং বানোয়াট সংবাদের নুন্যতম প্রমান ছাড়াই ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ করেছে৷ অনুসন্ধানে জানা যায় জিকে শামীম সিন্ডিকেটের প্রভাবশালী ঠিকাদাররা বঞ্চিত হওয়ায় তারা তাদের বিপুল পরিমান কালো টাকা দিয়ে এসব ভূয়াসংবাদ প্রচার করছে।
এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবাদ মূলক বিবৃতিও প্রদান করেছিল গণপূর্ত অধিদফতরের
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ পারভেজ খাদেম স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলমকে জড়িয়ে প্রকাশিত সংবাদে দুর্নীতির যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। এমনকি তাকে দুদকের নোটিশ প্রদানের বিষয়টিও সঠিক নয়।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী জনাব আশরাফুল আলম তিনি ১৫ তম বিসিএস (পাবলিক ওয়ার্কস) ক্যাডারের মেধাতালিকায় প্রথম হিসাবে ১৯৯৫ সালে গণপূর্ত অধিদপ্তরে সহকারী প্রকৌশলী পদে যোগদান করেন।
প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম
তিনি ১৯৯৮ সালে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী, ২০০৭ সালে নির্বাহী প্রকৌশলী, ২০১৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং ২০১৮ সালে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি লাভ করেন। কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে সরকারি দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে তিনি চাকুরি ক্ষেত্রে অনেক সুনাম অর্জন করেন। তিনি ৩১/১২/২০১৯ তারিখে গণর্পূত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন।
কর্মজীবনে তিনি অত্যন্ত মেধাবী ও সৎ একজন কর্মকর্তা। তাঁর চাকুরি ও কর্মকাজের স্বীকৃতিস্বরূপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বছর ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ৫৬০ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নে অন্যতম অবদান রাখায় হজ্জব্রত পালন করার সুযোগ প্রদান করেনএবং গতবছর তিনি হজ্ব পালন করেন।









Discussion about this post