নারায়ণগঞ্জ জেলার সকল উপজেলায় প্রকাশ্যে অসংখ্য তিতাস গ্যাসের চোরাই সংযোগ একের পর এক বিচ্ছিন্ন করার পরও থামানো যাচ্ছে না চোরাই গ্যাস সংযোগকারীদের দৌড়াত্ম । জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে অসংখ্য এমন অবৈধ সংযোগ থাকার খবর বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রকাশের পর এক প্রকার দায়সারা পন্থায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে মাঠে নামে তিতাস কর্তৃপক্ষ । এরপর আর কোন খবর থাকে না । আবার একই পন্থায় চলে চোরাই গ্যাস সংযোগের কর্মকান্ড । এ যেন মগের মুল্লুকে পরিণত হয়েছে । যে যেভাবে পরছেন নিজের ক্ষমতার জোড়ে চালিয়ে যাচ্ছেন চোরাই গ্যাসের কারবার । মিল-ফ্যাক্টরী কিংবা বাসা বাড়িতে এখনো নানা উপায়ে গ্যাস সংযোগ দিচ্ছে চোরাই পন্থার সাথে জড়িতরা । তিতাস কর্তৃপক্ষে অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে যোগসাজস করেই এমন কর্মযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছে চোরাই চক্রের হোতারা ।
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে র্যাব ও তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের যৌথ অভিযানে অনুমোদনহীন মশার কয়েল কারখানার মালিক ও ম্যানেজারকে গ্রেফতার করা হয়েছে । বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ।
বুধবার (৪ মার্চ) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো- কারখানার মালিক কামাল খাঁন (৪২) ও কারখানার ম্যানেজার আল-আমিন (২৭)।
র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ তিতাস গ্যাস কোম্পানির দেওয়া মেইন লাইনে ছিদ্র করে অবৈধভাবে গ্যাস চুরি করে অননুমোদিত ভেজাল কয়েল উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত কামাল খাঁন উক্ত অবৈধ গ্যাস সংযোগের মূলহোতা। তারা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে এবি কয়েল, কারেন্ট কয়েল, চন্দন ইত্যাদি বিভিন্ন খ্যাতিসম্পন্ন ব্রান্ডের নামে কয়েল তৈরি ও পাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করে আসছিল।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃতরা অনুমোদনহীন ভেজাল কয়েল উৎপাদন করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে আসছিল। কারখানাটি অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে ভেজাল কয়েল উৎপাদন করে জনস্বাস্থ্যের ও রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে আসছে। তিতাস গ্যাস কোম্পানি কর্তৃপক্ষ উক্ত কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।









Discussion about this post