ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
ভারতের সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া তার ছেলের বরাত দিয়ে এ তথ্য উল্লেখ করেছে। এনডিটিভিও একই তথ্য জানিয়েছে।
১৯৭১ সাল থেকেই বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন প্রণব মুখার্জী। তিনি বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য ছাত্র-শিক্ষক নিয়ে কলকাতা থেকে টাকা সংগ্রহ করতেন। সেখানকার ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে সাহায্য নিয়ে শরণার্থীদের জন্য বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে পাঠাতেন।
বাংলাদেশকে প্রবাসী সরকারকে ভারতের সমর্থন দানের জন্য ১৯৭১ সালের ১৫ জুন ভারতের রাজ্যসভায় প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন প্রণব মুখার্জী। তখন থেকেই তিনি বাংলাদেশের বন্ধু হয়ে ওঠেন।
তিনি তার আত্মজীবনীমূলক সিরিজের প্রথমটি ‘দ্য ড্রামাটিক ডিকেড: দ্য ইন্দিরা গান্ধী ইয়ারস’ এ একটি পুরো অধ্যায় লিখেছেন ‘মুক্তিযুদ্ধ: দ্য মেকিং অব বাংলাদেশ’ নামে।
এখানে প্রণব মুখার্জী পাকিস্তান আমলে বাঙালিদের প্রতি শোষণ ও বঞ্চনার চিত্র তুলে ধরেছন। সেখানে তিনি ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, সত্তরের নির্বাচন পেরিয়ে কী প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন এবং ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়েছিল সবকিছু নিয়ে লিখেছেন।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০১৩ সালে প্রণব মুখার্জীর হাতে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। তখন তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু প্রণব মুখার্জীর মৃত্যুর খবর মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পরলে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক মহলে শোকের ছাড়া নেমে আসে । অনেকেই নানা ভাবে মুখরিত হয়ে উঠেছেন প্রণব মুখার্জীর নানা স্মৃতি নিয়ে । বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যেবাহী শত বছরের পুরাতন বোস কেবিনের চায়ের আড্ডায় প্রণব মুখার্জীকে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ।









Discussion about this post