জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নাকের ডগায় (সর্বোচ্চ ৫০ গজের মধ্যে) অসাধু রাজনীতিবিদ, অসাধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসংখ্য কর্মকর্তা, বিশেষ পেশার নামধারী অপরাধীদের শেল্টারে একাধিক মাদক ব্যবসায়ী চক্র একেবারেই প্রকাশ্যে হাক ডক, চিৎকার করে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো ।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে কোন মাদকের স্পট, মাদকের আস্তানা কিংবা মাদক বিক্রেতার স্থান হবেনা। কেউ মাদক নিয়ে কোন ধরনের চিন্তা করে থাকলে এখনি সচেতন হোন।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের চাঁদমারী বস্তি উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষ করে সাংবাদিকের একথা জানান তিনি।
এসপি বলেন, এই চাঁদমারী বস্তি ছিল মাদকের স্পট। এখানে মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলতো। মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার, সাজা দেয়া, বন্দুকযুদ্ধের মত ঘটনাও এখানে ঘটে। মাদক বিক্রেতারা এই এলাকাটিকে বেছে নিয়েছিল মাদকের হাট হিসেবে। প্রায় ২ একর (২০০ শতাংশ) জমি এখানে ছিল অবৈধ স্থাপনা। আমরা এটিকে উচ্ছেদ করেছি এবং সড়ক ও জনপদকে বলেছি তাদের জমিতে যেন দ্রুত তারা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন যেন কেউ আর এখানে অবৈধ স্থাপনা করতে না পারে।
জানা যায়, এই ২০০ শতাংশ জমির দাম প্রায় দেড়শত কোটি টাকা। এই জমিটি প্রভাবশালীরা দীর্ঘদিন দখলে রেখে এখানে মাদক বিক্রেতাদের ভাড়া দিতে তাদেরকে দিয়ে মাদক ব্যবসা করাতেন। প্রশাসনের আলটিমেটামের পরে মঙ্গলবার থেকে নিজেরাই স্থাপনা ও আসবাবপত্র সরিয়ে নিতে শুরু করে বস্তিবাসী। এখন এটি উচ্ছেদ হওয়ায় স্বস্তি পেয়েছেন নগরবাসী।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন যাবৎ নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নাকের ডগায় (সর্বোচ্চ ৫০ গজের মধ্যে) অসাধু রাজনীতিবিদ, অসাধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসংখ্য কর্মকর্তা, বিশেষ পেশার নামধারী অপরাধীদের শেল্টারে একাধিক মাদক ব্যবসায়ী চক্র একেবারেই প্রকাশ্যে হাক ডক, চিৎকার করে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো । মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফ্তারের পর তাদেরকে ছাড়াতে কয়েকজন আইনজীবী, আইনজীবী সহকারী আদালতে নানা তদ্বির চালানোর জোড়ালো অভিযোগ রয়েছে । একই সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রায় সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের কে নিয়মিত মোটা অংকের মাসোহারা দিয়ে মাদক ব্যবসা প্রকাশ্যে চালাতো অপরাধী চক্র ।









Discussion about this post