আলোচিত সাত খুন ঘটনার পক্ষকাল আগে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিক অপহরণের ঘটনাটি ছিল আলোচিত ঘটনা।
নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
নারায়ণগঞ্জ: আলোচিত সাত খুন ঘটনার পক্ষকাল আগে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী গার্মেন্টস ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিক অপহরণের ঘটনাটি ছিল আলোচিত ঘটনা।
পুরো নারায়ণগঞ্জ তো বটেই দেশজুড়ে এ অপহরণ ঘটনা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। শ্বাসরুদ্ধকর ৩৬ ঘণ্টা পর এবি সিদ্দিককে উদ্ধার করা গেলেও আলোচিত সেই ঘটনার মূল কারণ ও রহস্য উদঘাটন হয়নি গেলো ছয় বছরেও।
এ প্রসঙ্গে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিদ্দিক অপহরণ ঘটনাটির জোরালো তদন্ত যখন শুরু হলো তখনই সেভেন মার্ডারের ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনে রদবদল হয়। এ কারণে চাপা পড়ে যায় আলোচিত এ ঘটনাটি।
যেভাবে অপহরণ ঘটনা
২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল দুপুরে ফতুল্লার দাপার গার্মেন্টস থেকে নিজস্ব লাল প্রাইভেটকারে ঢাকা যাচ্ছিলেন আবু বকর সিদ্দিক ও চালক রিপন। তাদের গাড়িটি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ভূইগড় দেলপাড়া ভূইয়া ফিলিং স্টেশনের সামনে আসার পর পেছন থেকে নীল রঙয়ের একটি হাইএস গাড়ি মৃদু ধাক্কা দেয়।
পরে তাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয়। ৩৬ ঘণ্টা পরে তাকে মিরপুর আনসার ক্যাম্প এলাকায় ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। পরে একটি সিএনজি অটোরিকশায় চড়ে আসার পথে রাজধানীর কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডে স্থাপিত চেকপোস্টে তাকে খুঁজে পায় পুলিশ। পরে পরিচয় পেয়ে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। উদ্ধারের পর রাতেই ঢাকার ধানমন্ডির বাসায় নেওয়া হয় সিদ্দিককে।
মামলাটির তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক (বর্তমান যশোর জেলা পুলিশে কর্মরত) বলেছিলেন, এবি সিদ্দিক অপহরণের ১১ দিন পরেই নারায়ণগঞ্জে ৭ খুনের ঘটনা ঘটে। এরপর মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা বদলি হয়ে যান। পুলিশ প্রশাসনেও ব্যাপক রদবদল হয়। যার কারণে মামলাটির তদন্ত কাজ বেশিদূর আর যায়নি।
জবানবন্দিতে এবি সিদ্দিক জানান, তাকে অপহরণের পর হাত-পা-চোখ বেঁধে একটি মাস্ক বা কাপড় পড়িয়ে শুইয়ে রাখা হয়। তাকে গাড়িতে ওঠানোর পরে গাড়িটি কিছুক্ষণ চলার পরে একটি ফেরি পার হয়। এরপর অন্য একটি গাড়িতে উঠিয়ে আবার চলতে শুরু করে। এরপর আরও একটি ফেরি পার হয়। সর্বমোট ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা গাড়ি চলার পর সন্ধ্যার দিকে একটি বাড়ির মেঝেতে তাকে রাখা হয়। পরে ১৭ এপ্রিল রাত ১০টার দিকে ওই বাড়ি থেকে বের করে এক থেকে দেড় ঘণ্টা গাড়িতে করে চলার পর আনসার ক্যাম্পের সামনে ৩০০ টাকা হাতে দিয়ে চোখ বাধা অবস্থায় নামিয়ে দেয় অপহরণকারীরা।
ঘটনাটি সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও এমন ঘটনার ছয় বছরেও কোন খোজ রাখে নাই কেউ।









Discussion about this post