নানা জল্পনা কল্পান শেষে এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহবায়ক তৈমুর আলম খন্দকার।
নাসিক নির্বাচন ঘিরে চলমান ব্যাপক বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের দৌড়ঝাপ ও গোপন মিটিং – বৈঠক, নানা কলা কৌশলের সকল তথ্য সংগ্রহ করতে দেশের সকল গোয়েন্দা সয়ংস্তাগুরো ব্যাপক নজরদারী চালিয়ে যাচ্ছে । এমন নজরদারীর মধ্যেই এডবোকেট তৈমূর আলম খন্দকার মনোনয়ন পত্র সগ্রহ নিয়ে এতোদিন ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা, ঘুঞ্জনের পর এবার সোমবার (১৩ ডিসেম্বর ) বেলা পৌনে ১২টায় জেলা নির্বাচন অফিস থেকে তিনি নিজে মনোনয়ন পত্র কিনেন। এর আগে তিনি ফতুল্লার মাসদাইর গোরস্থানে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করেন।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার পর তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আপাতত মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছি।
তিনি বলেন, কর্তব্য এবং দায়িত্ববোধ থেকে আমি মেয়র পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। গত ৫০ বছর ধরে আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশে ছিলাম। তাদের জন্য কাজ করেছি। বস্তির লোকজন থেকে শুরু করে ঠেলাগাড়িওয়ালা দিনমজুরের জন্য কাজ করেছি ।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের আপামর জনতার দাবির প্রেক্ষিতে আমি মেয়র পদে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, ২০০৩, ২০১১ ও ২০১৬ সালে দল থেকে আমাকে নির্বাচন করার জন্য মনোনিত করা হয়েছিল। কিন্তু নানা কারণে আমার নির্বাচন করা হয়নি। এবার সব মহল থেকে দাবি এসেছে আমি যাতে নির্বাচন করি। জনতার সে দাবির প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে আমি নির্বাচনে নেমেছি।
তৈমুর বলেন, একসময় যারা নারায়ণগঞ্জের মানুষকে আগলে রাখতেন তাদের অনেকে আজ বেঁচে নেই। আমি তৈমুর আলম খন্দকার বেঁচে আছি। আমি মনে করি, নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য আমার কিছু করা দরকার।
শামীম ওসমান ও আইভীর দিকে ইঙ্গিত করে তৈমুর বলেন, নারায়ণগঞ্জে মেয়র আর এমপি মুখোমুখি। তাদের বিরোধের কারণে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটা চলতে পারে না। তাই জনগণের উন্নয়ন করার জন্য মেয়র পদে নির্বাচন করবো।
বিএনপির নেতা এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের মনোনয়নপত্র সংগ্রহের খবরে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে ব্যাপক মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে । বিগত নির্বাচনেও তৈমূর আলম খন্দকারকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার জন্য একটি পক্ষ ব্যাপক তৎপড়তা ব্যর্থ হবার পর তৎকালীর সময়ে এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের উপর ভর করেছিলেন । এবারো সেই পরাজিত পক্ষ আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তৈমূর আলম খন্দকারকে ভোটের লড়াইয়ে নামাতে পেরেছেন বলেও ব্যাপক গুঞ্জনের ঝড় উঠেছে ।








Discussion about this post