শীতলক্ষ্যা নদীতে পণ্যবাহী জাহাজে ডিম ভেজে খাবার দেয়ার ঘটনায় মূল হোতা সবুজ মিনা এখনো রয়েছে পলাতক । এদিকে জাহাজের অন্যান্যদের ভাষ্য থেকে জানা যায় ঘাতক সবুজ মিনা ও তার ভাই (গ্রেফতারকৃত) নাহিদ মিনাকে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটাতে এমবি নিউটেক এর হেড অফিস থেকে মোবাইলে কারা উৎসাহিত করেছিলো তা তদন্ত করার দাবী উঠেছে
বন্দরে খাবার খাওয়া নিয়ে এমবি নিউটেক-৪ লাইটার (কোষ্টার) জাহাজের এক স্টাফকে হত্যার ঘটনায় আসামী নাহিদ মিনাকে (২৮) ৩দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মহসীনের আদালতে হাজির করে ৭দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে শুনানি শেষে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রিমান্ড প্রাপ্ত আসামী নাহিদ মিনা (২৮) গোপালগঞ্জ জেলার সদর থানার পশ্চিম সুকতাইল (পার্ট) এলাকার মৃত.আলী মিনার ছেলে।
এ বিষয়ে কোর্ট পুলিশ এএসআই তাহমিনা বলেন, আসামী নাহিদকে ৩দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহত লিটন সরদার ওরফে টিটন সরদার (৩৬) এমবি নিউটেক-৪ লাইটার ( কোষ্টার) জাহাজের এক স্টাফ হিসেবে চাকরী করেন।
গত ১৬ অক্টোবর সকাল ৭ টার সময় জাহাজটি চট্টগ্রাম হতে যাত্রীসহ সিমেন্ট তৈরীর কিলিংকার নিয়ে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার মাহামুদ নগর ইনসি সিমেন্ট কারখানার নদীর পাড়ে আনলোডিং পয়েন্টে নোঙ্গল করে।
তখন ওই জাহাজের স্টাফ সবুজ মিনা (২৫),নাহিদ মিনা (২৮), মাস্টার তাজুল ইসলাম ্ও বাবুর্চি মোশারফ (৪০) তাদের সাথে বিকাল ৩ টায় খাবার নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায় এ মামলার ১ নং আসামী সবুজ মিনারের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে বুকের ডান পাশের স্তনে নিহত লিটন সরদার ওরফে টিটন সরদারকে গুরুত্বর আঘাত করে জখম করে। এরপর নাহিদ মিনা হত্যার উদ্দেশ্যে লিটন সরদার ওরফে টিটন সরদারকে কপালে ধারালো ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে।
জাহাজের মাস্টার তাজুল ইসলাম ও বাবুর্চি ২ জনকে থামানোর জন্য এগিয়ে আসলে তাদের আসামী সবুজ মিনা ও নাহিদ মিনা এলোপাথাড়ি ভাবে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে তাদের। আসামী সবুজ মিনা তখন নদীতে ঝাপ দিয়ে পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে আসামী নাহিদ মিনা কৌশলে নদীর কিনার দিয়ে পালিয়ে যায়। নিহত লিটন সরদার ওরফে টিটন সরদার এর সম্বন্ধী ওই জাহাজের স্টাফ গাজী সুলতান মাহমুদ ও মাস্টার তাজুল ইসলাম ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত. ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত লিটন সরদার ওরফে টিটন সরদার এর সম্বন্ধি গাজী সুলতান মাহমুদ বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।








Discussion about this post