টাকা না দিলেই পুলিশ খুইজ্জা খুইজ্জা ধইরা নিয়া যায়, আবার নিয়মিত টাকা দিলে এলাকার কোন পোলা কি করলো তার খোজও পুলিশ রাখে না ! ঠিক এমনেই টাকা দিলেই নিউজ বন্ধ থাকে আরার টাকা না দিলেই নিউজ করে। কত সাংঘাতিক আর পুলিশরে যে টাকা দিতে হয় তার পুরা হিসাব বিটু ভাইয়ের কাছেই আছে । পুলিশ আর সাংবাদিকরা নিয়মিত মান্থি নিয়া যায় । যার কারণে বিটুরে কেউ ধরেও না, কোন পত্রিকায় লিখেও না ।
শুক্রবার ৩০ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ শহরের অন্যতম শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বিটুকে নিয়ে nganjnewsupdate.com অনলাইন নিউজ পোর্টালে সাংবাদ প্রকাশের পর নিতাইগঞ্জ এলাকার বিটুর নিয়ন্ত্রিত অন্যতম দুইজন সেলসম্যান তাদের নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে উল্লেখিত মন্তব্য করে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বিটু সেলস্ম্যানরা আরো জানায়, ‘বিটুর হাত অনেক লম্বা ! সে পুলিশ পিটাইয়া যখন এখনো নিশ্চিন্তে ব্যবসা করতে পারতেছে রাইলে রারে আর ঠেকায় কে । প্রতি মাসে বিটু ভাইয়ের শেল্টারদাতা যার নাম নিউজে আইছে তারে দিয়া নাকি থানায় আর শীতলক্ষ্যা ফাড়িতে দুই লাখ টাকা পাঠায় । আর অনেক সাংবাদিকদের কে ১ হাজার থেইক্কা শুরু কইরা ৫/৭ হাজার টাকাও দিতে দেখছি। ”
দীর্ঘদিন যাবৎ নারায়ণগঞ্জ শহরের সর্বত্র বিটুর এমন মাদক সাম্রাজ্যের সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ হলে প্রায়ই প্রশাসনের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সংসদ সদস্যের পিএস পরিচয়দানকারী, বিশেষ পেশার কেউ কেউ নিয়মিত জোড়ালো অনুরোধ করে জানান, ‘বিটু তো নাদক ব্যবসা করে না, সব ছেড়ে ভালো হয়ে গেছে, খোজ নিয়ে দেখেন এবং বিটুকে ভালো হওয়ার সুযোগ দেয়ার অনুরোধও করেন ।’
এমন জোড়ালো অনুরোধের পর সাংবাদ খোজ নিতে গিয়ে সময় ব্যয়কালীন সময়ে দুর্ধর্ষ বিটু পুরো শহরে অপপ্রচার চালায়, টাকা দিয়ে নিউজ বন্ধ করাইছি !’
দুর্ধর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বিটুর বিশাল মাদকের সাম্রাজ্য বন্ধ করতে হলে পুলিশ ছাড়া ডিবি অথবা র্যাবের কঠোর হস্তক্ষেপ জরুরী।
নিম্নোক্ত সাংবাদ প্রকাশের পর শুক্রবার থেকেই একদিকে হুমকি অপরদিকে জোড়ালো তদ্বির চালিয়েছে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বিটু ।
শুক্রবার ৩০ অক্টোবর দুপুর ১ টা ৪১ মিনিট । নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের চিত্র । ১৬ জন কিশোর একজোট হয়ে কারাগারে বন্দি বিটু বাহিনীর অন্যতম সেলসম্যান শরীফের সাথে সাক্ষাৎ করতে কারাগারে পাঠিয়েছে তাদের লিডার সালাউদ্দিন বিটু । এমনটা বলার পর কিশোরদের কেউ কেউ জোড়ালো ভাষায় দম্ভ করে প্রতিবেদককে জানায়, আমাদের লিডার বিটু, আর বিটু ভাইয়ের লিটার লাভলু আর লাভলু সাহেবের লিডার কে তা নারায়ণগঞ্জের সবাই যানে ।
পুলিশ পিটিয়ে, পুলিশের নাকের ডগায় পুলিশকে ম্যানেজেই নারায়ণগঞ্জ শহরের বিশাল এলাকায় কিশোর গ্যাং তৈরি করে বীরদর্পে পাইকারী ও খুচরা মাদকের হাট বাজারের সাম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে সেই কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বিটু । যার হাতে রয়েছে ৪০/৫০ জনের একটি কিশোর গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণ ।
শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের গডফাদার শহরের শীতলক্ষ্যা তামাকপট্টি এলাকার মৃত হাবলু চৌধুরীর পুত্র সালাউদ্দিন শতাধিক সেলসম্যানের মাধ্যমে বিক্রি করছে ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ নানা ধরনের মাদক ।
উপরে উল্লেখিত বক্তব্য ছাড়াও কিশোরদের কেউ কেউ আরো জানায়, নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং রেল গেইট এলাকায় প্রকাশ্যেই ৪/৫ জন মাদক বেচে, টানবাজার সুইপারপট্টিতে প্রকাশ্যেই চলে মাদকের হাটবাজার, রেলী বাগানে সেই পুরানো মাদক ব্যবসা প্রকাশ্যেই চলে ৷ কোথায় নেই মাদক ? আর বিটু ভাই মাদক ব্যবসা না করলে পুলিশকে নিয়মিত মান্থলি দিবো কেমনে ! এভাবেই নারায়ণগঞ্জ শহরের অসংখ্য স্পট একেভারেই খোলামেলা ই চলে মাদকের কারবার ।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের সামনে দাড়িয়ে বিটু বাহিনীর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের এমন মন্তব্য শুনে হতভম্ব হয়ে পরেন কেউ কেউ ।
জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের একটি টিমের উপর মাদক ব্যবসাযী বিটু ও তার বাহিনীর হামলা করে কয়েকজন পুলিশ সদস্য কে গুরুতর আহত করে দীর্ঘদিন ভারতে পলাতক থেকে ফের অত্যান্ত কৌশলে পুলিশের এক কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে বীরত্বের সাথে ফিরে এসে ৪ মার্চ গ্রেফতার নাটক মঞ্চায়ন করে পুলিশ, বিটু ও বিটুর এক গডফাদার । এরপর থেকে তার বিটুর মাদক ব্যবসা আর ঠেকানোর ক্ষমতা দেখায় নাই পুলিশ৷
শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বিটুর এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে পুলিশের এক সদস্য বলেন, ঘটনার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও বিটু ও বিটুর বাহিনীর হামলায় আহত পুলিশের ওই কর্মকর্তার বদলীর পর আবার নতুন কর্মকর্তাদের সাথে গত সোমবার ২ মার্চ মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় গোপন মিটিং করে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বিটুর শেল্টারদাতা এক প্রভাবশালী।
সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলায় তদ্বির করতে গিয়ে ২ নার্চ মধ্য্রাতে বিটুকে গ্রেফতার ন্সটক মঞ্চায়ন করতে নতুন ছক তৈরী করে ।
সেই ছক অনুয়ায়ী গ্রেফতারের নাটক মঞ্চায়িত হয় নারায়ণগঞ্জ থানায় ।
পূর্ব পরিকল্পিত ছক অনুযায়ী ৪ মার্চ বুধবার রাত ১০টায় তামাকপট্টি এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের একটি টিম কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বিটুকে গ্রেফতারের পর পুলিশ আইনের ৫৪ দগারায় আদালতে পাঠায় । সে ওই এলাকার মৃত আবিদ আলী চৌধুরী ওরফে হাবলু চৌধুরীর ছেলে।
প্রসঙ্গত নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন বিটু। তার রয়েছে বিশাল মাদকের নেটওয়ার্ক। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা হিসেবেই তাকে চেনে এবং জানে শহর ও শহরতলির মাদক বিক্রেতারা।
২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ৫০০ পিস ইয়াবাসহ শহরের নিতাইগঞ্জ তামাকপট্টি এলাকার শুক্কুর মিয়ার রিকশার গ্যারেজ থেকে ডিবির হাতে গ্রেপ্তার হয় বিটু ।
একই বছরের ১৯ আগস্ট বিটুকে সাড়ে ৩০০ পিস ইয়াবাসহ তামাকপট্টি থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। বিটু এর আগেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কদমতলী থানায় সাড়ে ৫০০ পিস ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার হয়।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সালাউদ্দিন বিটুর সেকেন্ড ইন কমান্ড বুইট্টা সুজন, শাহীন ও আরিফকে ৬০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ আটক করে সদর মডেল থানা পুলিশ। এরপর গা-ঢাকা দেয় মাদক বিক্রেতা সালাউদ্দিন বিটু। পরবর্তীতে তিনি আবারো এলাকাতে ফিরে আসে।









Discussion about this post