নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ , সদর ও বন্দর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের আরে মাত্র কয়েক দিন বাকী । এরই মধ্রে কেউ গ্যাস চোরদের গাডফাদার আবার কেউ তেলচোরদের মূল হোতা। প্রার্থীদের প্রায় সকলের বিরুদ্ধেই ভূমিদস্যুতা অভিযোগের পাশাপাশি গ্যাস চুরির মহোৎসব, বিশাল বিশাল সম্পদের মালিক হয়ে ধরাকে সরাজ্ঞান করার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে । কেউ কেউ গাজাখোর, কেউ মদতী কেউ কেউ টানবাজার পতিতাদের নিয়ে নানা কেলেংকারীর অভিযোগও রয়েছে । আবার কোন কোন চেয়ারম্যান প্রার্থী যিনি লাম্পট্যের সেঞ্চুরী করার অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর মুখে । এই চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করায় মামলাও দায়ের হয়েছে থানায় । এরপরও একে অপরকে ঘায়েল করতে চলছে দৌড়াত্ম ।
এবার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে তেলচোরা দেলুর বিরুদ্ধে অভিযোগের ফিরিস্তি উঠে এসেছে গণমাধ্যমে । তেলচোরা দেলুর এমন খবরে বন্দরবাসী প্রকাশ্যেই বলছেন দেলু তো মদতী, অপরাধী আর তেলচোরাই কারবারে জড়িত তা তো সকলেই জানেন । তার বিরুদ্ধে দূদকের দায়ের করা অভিযোগের খবর উঠে এসেছে এই সময়ে । কিন্তু প্রতিপক্ষ প্রার্থী কাজিম উদ্দিন কি “দুধে ধোয়া তুলসী পাতা”? কাজিম উদ্দিন প্রধানের এতো সম্পদের উৎস্য কি ? তার হিসাব কি দূদক একবারও খতিয়ে দেখেছে ? সামান্য চতুর্থ শ্রেণীর তিতাসের কর্মচারী থেকে শত শত কোটি টাাকর মালিক কি করে হলেন এই কাজিম উদ্দিন ? কাজিমকে অসাধু রাজনীতিবিদ, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অসাধু কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমের অসাধু কর্মীদের কেউ কেউ “দুধ দেয়া গরু” বলেই ডাকেন। নারায়ণগঞ্জের সবচাইতে হেবিওয়েট প্রার্থী তেলচোরা দেলু আর গ্যস চোরা কাজিম দীর্ঘদিন যাবৎ এতো অপরাধের সাথে জড়িত থেকে অনেককেই দূর্ণীতির হিস্যা দিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে । আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে দূর্ণীতির বরপূত্র দেলুর বিরুদ্ধে দূদক চার্জসীট প্রদান করেছে । আরেক দূর্ণীতির গডফাদার কাজিম উদ্দিন রযেছে বহাল তবিয়্যতে । তবে কি কাজিম দুধে ধোয়া তুলসী পাতা ? দূদক কি দূর্ণীতিবাজদের বিরুদ্ধে চার্জসীট প্রদানের পাশাপাশি কাজিমের মতো দূর্ণীতিবাজদের “দুধে ধোয়া তুলসী পাতা”র সার্টিফিকেট প্রদান করেছেন ?
বন্দরে এমন সমালোচনা সকলের মুখে উচ্চারিত হচ্ছে
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানি লন্ডারিংসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা একটি মামলার চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। চার্জশিটে দুর্নীতির সকল অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেছে দুদক। অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য কলাগাছিয়া ইউপি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী।
দুদক সূত্রে জানা যায়, কলাগাছিয়া ইউপি নির্বাচনে লাঙ্গলের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন, নামে-বেনামে জ্ঞাত বহির্ভূত আয়, মানি লন্ডারিংয়ের বিভিন্ন অভিযোগ পায় দুদক। অভিযোগের তদন্তে নেমে প্রাথমিক সত্যতাও পায় সংস্থাটি। পরে ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর দেলোয়ার প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১। প্রায় দুই বছর দীর্ঘ তদন্ত শেষে এই মামলার চার্জশিট দিয়েছে দুদক। চলতি বছরের ৭ সেপ্টেম্বর দেলোয়ার প্রধানের বিরুদ্ধে করা এই মামলার চার্জশিট প্রদানের অনুমোদন দেয় দুদক। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মানসী বিশ্বাস।
দুদক সূত্র জানায়, গত ১০ বছর কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান। দীর্ঘ এই সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন উপায়ে দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন দেলোয়ার হোসেন। মানি লন্ডারিংয়ের সাথেও সম্পৃক্ত তিনি। এসব বিষয়ে দেলোয়ার প্রধানের কাছে তথ্য চাইলে তিনি তথ্য গোপন করেন। তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে আসামি দেলোয়ার প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় চার্জশিট দিয়েছে দুদক। ধারা অনুযায়ী আদালতেও তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ১০ বছর ও সর্বনিম্ন ৩ বছরের কারাদন্ডপ্রাপ্ত হবেন আসামি। একই সাথে অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হবে ।









Discussion about this post