আমাদের রাষ্ট্র স্বাধীন হয়েছে কিন্তু দেশের মানুষ স্বাধীন হয়নি। একটি মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশ স্বাধীন হয়েছিল তা হয়নি। আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছি অথচ মানুষের স্বধীনতা নেই। দেশের তরুণরা দলে দলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাঁচতে চাচ্ছে, জনগণের হাজার হাজার কেটি টাকা বিদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে কয়েকজন অসাধু-ব্যক্তি, সংখ্যালঘুর তকমা নিয়ে প্রণের ভয়ে দেশে থেকে দলে দলে মানুষ দেশ ছাড়ছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধে এ দেশটিকে সবার জন্য করার জন্য তারাও রক্ত দিয়েছিলেন। কিন্তু ৫০ বছরেও এদেশটি সবার হয়নি। বিচার-ব্যবস্থা, গণমাধ্যম, রাষ্ট্রীয় কোন প্রতিষ্ঠানই স্বাধীন হয়নি।
নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও নিহত তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি তার বক্তব্যে বলেছেন বিচারহীনতার নানা বিষয় ।
শনিবার ২০ মার্চ বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেসা মুজিব মিলনায়তনে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর ২৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে “জাতীয় ত্বকী চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা’২০” এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সব কিছুই পরাধীন, সরকার নিয়ন্ত্রিত। এখন আইনের শাসন হচ্ছে সরকারের ইচ্ছের প্রতিফলন। যেভাবে সরকার চায় সেভাবেই তা হয়। ছয় মাসে নুসরাত হত্যার বিচার নি¤œ আদালতে শেষ হয় আর আট বছরে ত্বকী হত্যা বিচার শুরুই হয়না। রাজন-রাকিবে বিচার সাত মাসে শেষ হয় আবার নয় বছরেও সাগর-রুনি হত্যার অভিযোগপত্র দেয়া হয় না, তনু হত্যা বিচার শুরু হয়না।
সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক, নিহত ত্বকীর পিতা রফিউর রাব্বি’র সভাপতিত্বে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ গবেষক, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক শওকত আরা হোসেন, সাবেক সচিব, কবি ও লেখক সফিকুল ইসলাম, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব কবি, সাংবাদিক হালিম আজাদ, জাতীয় ত্বকী চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা ২০ এর আহ্বায়ক জাহিদুল হক দীপু প্রমুখ।
পরে সারাদেশের বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপস্থিত অতিথিবৃন্দ। এবারে চিত্রাঙ্কন ও রচনায় সারাদেশ থেকে আট’শ ও রচনায় সাড়ে তিন’শ প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করেছে। ছয়টি বিভাগে ৬০ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারকার্য পরিচালনা করেছেন, চিত্রাঙ্কনে রফিকুন নবী, জাহিদ মুস্তাফা ও অশোক কর্মকার; রচনায় ড. হায়াৎ মামুদ, ড. সফিউদ্দিন আহমদ ও ফিরোজ আহমেদ।









Discussion about this post