হকাররা যদি থানা ঘেরাও করতে পারে তাহলে আমাদের যে মারবে না সেটার কি নিশ্চয়তা আছে। কাউন্সিলররা যদি হকার উচ্ছেদ করতে যায় তাহলে হয়তো সব কাউন্সিলরদের মারবে না। কিন্তু ১৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে তো রাস্তায় মারধর শুরু হবে।
মঙ্গলবার ১৩ অক্টোবর সকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। করোনার কারণে এবার সুধী সমাবেশ না করে আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগার মিলনায়তনে ওই বাজেট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মেয়র বলেন, তাদের এসব ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও সাহসের পেছনে কারা সেটা খুঁজে বের করা উচিত। তাঁকে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে সাথে নিয়ে হাঁটতে চায় নারায়ণগঞ্জের মানুষ। কিন্তু তাঁর এলাকা নারায়ণগঞ্জ না। তাঁর এলাকা ফতুল্লা। সেখানে গিয়ে মাতুব্বরী করুক, নারায়ণগঞ্জ শহরে না ।
চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ শহর অবৈধ স্ট্যান্ডের শহরে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বলেছেন, ‘এই চাঁদাবাজির পেছনে কারা আছে তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু মুখ খুলি না।’
‘আমি চাই ফুটপাতে হকার বসবে না। কিন্তু আরেক জনপ্রতিনিধি চায় বঙ্গবন্ধু সড়কে হকার বসুক। আমি চাই ট্রাক স্ট্যান্ড ট্রাকের জায়গায় যাক। কিন্তু অন্য একজন জনপ্রতিনিধি চান ট্রাক স্ট্যান্ড মন্ডলপাড়াতেই থাকবে। কারণ চাঁদাবাজি করতেই হবে। নির্দিষ্ট জায়গায় বাস, ট্রাক, বেবি স্ট্যান্ড থাকুক।’
শহরের বিভিন্ন পয়েন্টের অবৈধ যানবাহনের স্ট্যান্ড চিহ্নিত করে সিটি মেয়র বলেন, ‘চাষাঢ়ায় এভাবে অবৈধ স্ট্যান্ড কারা করছে ? ২০ টাকা করে সিটি কর্পোরেশনের নামে রসিদ করে খানপুর হাসপাতালের সামনে থেকে ইজিবাইক থেকে চাঁদা তোলা হয়। একাধিকবার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে রসিদসহ জানিয়েছি । কিন্তু কাউকেই কিছু বলা হয় না। এর পেছনে কারা তা আমরা জানি কিন্তু মুখ খুলি না। রাইফেল ক্লাবের সামনে যেখানে এমপি মহোদয় প্রায় সময়ই বসেন। সেই ক্লাবের সামনে ২৪ ঘন্টা কীভাবে অবৈধ স্ট্যান্ড থাকে ? চাষাঢ়াতে কীভাবে অবৈধ স্ট্যান্ড থাকে ? সারা শহর এখন অবৈধ স্ট্যান্ডের নগরী। সিদ্ধিরগঞ্জের সড়কে তো পা ফেলা যায় না। কাদের ছত্রছায়ায় এই স্ট্যান্ড চলে ? শহরের মানুষ এসব জানে কিন্তু বলতে ভুলে গিয়েছে ।’









Discussion about this post