সোনারগাঁ থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া ডাকাত শুক্কুর আলীকে ফের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম শফিকুল ইসলাম।
গত মঙ্গলবার সকালে সোনারগাঁ থানার ডিউটি অফিসের কক্ষ থেকে সে পালিয়ে যায়। এর আগে গত সোমবার রাত ১০টায় উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলগীরচর এলাকায় ডাকাতি প্রস্তুতিকালে ডাকাত সদস্য শুক্কুর আলীকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে।
এ সময় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, মোবাইল ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ডাকাতির ঘটনায় আলগীরচর এলাকার মোকলেসুর রহমান বাদী হয়ে ওইদিন মঙ্গলবার সকালে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় আরো একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানান, গত সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের আলগীরচর এলাকায় ডাকাত সদস্য শুক্কুর আলীসহ ৪-৫ জনের একদল ডাকাত মোটর সাইকেল যোগে এসে ডাকাত প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় এলাকার লোকজন টের পেয়ে চিৎকার করলে ডাকাত সদস্য শুক্কুর আলীসহ অন্যান্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে শুক্কুর আলীকে এলাকাবাসী ধাওয়া করে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লক্ষীবরদী এলাকা থেকে আটক করে গণধোলাই দেয়।
এ সময় অন্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে আটককৃত শুক্কুর আলীকে এলাকাবাসী রাতেই পুলিশে সোর্পদ করে। এ সময় পুলিশ ডাকাতিকাজে ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল, নগদ টাকা, মোবাইল ও একটি চাইনিজ চাপাতি, একটি ছুরি উদ্ধার করে। মঙ্গলবার সকালে সোনারগাঁ থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষ থেকে পালিয়ে যায়।
ডাকাত শুক্কুর আলী পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিতে জানায়, বারদী ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের মামুন ও চেঙাকান্দি গ্রামের জামাল তার সঙ্গে ডাকাতি কাজে সহযোগিতা করছে। গ্রেফতারের পর সোনারগাঁ থানায় ডিউটি অফিসার কক্ষে লেখালেখির কাজে ব্যস্ত থাকার সময় সুযোগ বুঝে সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম শফিকুল ইসলাম জানান, পালিয়ে যাওয়া ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।









Discussion about this post