নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
নারায়ণগঞ্জের প্রায় সকল গণমাধ্যমে ইয়ার্ন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা ও আরো দুই ব্যবসায়ীর নামে সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়েরের ঘটনায় শহর জুড়ে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে । একই সাথে এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে লিটন সাহা ও দুই সহযোগি নেপাল সাহা, গোওতম সাহা ।
দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহার করতে জোড়ালো চেষ্টার সাথে অপিরিচিত ফোন নম্বর থেকে অনবরত ফোন করে যাচ্ছে অভিযোগকারী আবুল কাশেম (৭০) কে ।
ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হলেও এ রিপোর্ট লেখাকালীন সময় মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত মামলাটি নথিভুক্ত হয়নি বলে জানা গেছে।
আবুল কাশেমের অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১২ বছর যাবত লুৎফর রহমানের কোম্পানীর গুদামে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। বিবাদী নেপাল চন্দ্র সাহা কাশেমের দায়িত্বাধীন টানবাজার ৫৫/৪ রেলি ব্রাদার্স টানবাজারের গোডাউন প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা ভাড়া দেয়।গত জুলাই হতে নভেম্বর মাস পর্যন্ত মোট ২ লাখ টাকা ভাড়া না দিয়ে নিজেদের মত ব্যবসা করে আসছে। কাশেম ভাড়া চাইতে গেলে নেপাল নানাভাবে তাকে হুমকি-ধমকি দেয়। গত ২৪ নভেম্বর দুপুরে নেপাল কাশেমকে ভাড়া দেয়ার কথা বলে তার ছেলে গোওতম চন্দ্র সাহাকে দিয়ে ডেকে পাঠায়। সেখানে নেপালের গোডাউনে গেলে নেপাল কাশেমকে মোবাইল ফোনে বিবাদী ইয়ার্ন মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপত লিটন সাহাকে (৫০) ধরিয়ে দেয়। লিটন সাহা মোবাইল ফোনে কাশেম ও তার মালিক লুৎফর রহমানকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।
এমন ঘটনার নেপথ্যের কারণ সম্পর্কে টানবাজার এলাকার অনেক ব্যবসায়ী আরো বলেন, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে লিটন সাহা একটি পক্ষের সাথে গোপন চুক্তি করেই এমন ঘটনা ঘটাতে পারে । একটি পক্ষের হয়ে লিটন সাহা এমন ঘটনা ঘটাতে পারে ।
এ ব্যাপারে ইয়ার্ন মাচেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এক ব্যবসায়ী (গৌতম) আমাকে ফোন দিয়ে জানিয়েছে তার গোডাউনে তালা দিচ্ছে কাশেম। আমি শুধু তাকে ফোনে বলেছি, তালা না মেরে আলোচনা করে বিষয়টির সমাধান করে নিতে। এর বেশি কিছু নয়।’
ইয়ার্ন মাচেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি লিটন সাহা ও আরো দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের সম্পর্কে সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত জয়নাল আবেদীন বলেন, দুই পক্ষকে ডেকেছি । একই সাথে মূল ঘটনা জানার জন্য তদন্ত চলছে ।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী আবুল কাশেম বলেন, আমি অভিযোগ করেছি । অপেক্ষায় আছি মামলা দায়েবর। একই সাথে অজ্ঞাত নামা ফোন থেকে অনবরত ফোন দিচ্ছে । আমি আতংকে আছি । কারণ লিটন সাহা আমাকে ভারোভাবে চিনে থাকার পরও গালিগারাজ করার কারণে সহজেই অনুমেয় লিটন কোন দুরভিসন্ধি নিয়ে এমন আচরন করেছে । তার নিজের স্বার্থ আছে তা এখন দেখার বিষয় । আমি বিচার চাই ।









Discussion about this post