গেলো কয়েক বছর পূর্বে একই কায়দায় লাশের কফিন তৈরি করে নারায়ণগঞ্জ ৩শ শয্যা হাসপাতালের ড্রাইভার আবু সিদ্দিকের মালিকানাধীন জনসেবা এম্বুলেন্স করে ফেনসিডিল পাচারকালে গ্রেফতার হয়েছিলো। এমন ঘৃন্য কর্মকাণ্ড ছাড়াও এর পুর্বে নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জনের গাড়ীতে করে ফেনসিডিল পাচারের লোমহর্ষক তথ্য উঠে এসেছে বর্তমান প্রেক্ষাপটে
চার টি মরদেহের আদলে লাশবাহী ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে কাফনের কাপড়ে মোড়ানো ফেনসিডিল বহনের সময় চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) গুলশান বিভাগ।
গতকাল রবিবার শাহবাগ থানার গণপূর্ত স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় লাশবাহী ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স থেকে দুই হাজার বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন-মাহাবুবুল হাসান (২৯), হাসানুর রহমান সবুজ (২২), মো. সোহেল মিয়া ওরফে এমিলে (২৫) ও রোমান (২৩)।
ডিবি-গুলশান বিভাগের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুবুল আলম জানান, আমাদের কাছে খবর ছিল কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী কৌশল হিসেবে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে সাদা কাপড়ে মোড়ানো লাশের আদলে ফেনসিডিল বহন করছেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে যাত্রী সেজে লাশবাহী গাড়ির পেছনে আসছেন।
খবরের ভিত্তিতে রোববার দুপুরের দিকে শাহবাগ থানার গণপূর্ত স্টাফ কোয়ার্টারের সামনে অভিযান চালানো হয়। এ সময় লাশবাহী ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স তল্লাশি করে সাদা কাফনের কাপড়ে মোড়ানো দুই হাজার বোতল ফেনসিডিল ভর্তি বস্তা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ আরও জানান, গ্রেফতারকৃতরা পরস্পর যোগসাজশে এ রকম অভিনব কায়দায় কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ফেনসিডিল সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে আসেন। এরপর ফেনসিডিলগুলো সুযোগ বুঝে তারা শহরের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করেন।









Discussion about this post