নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি অ্যাড. মাহবুবুর রহমান মাসুম বলেছেন, ‘আমাদের কোন অপরাধের জন্য এই ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ রাখা হয়েছে আমরা জানতে চাই। একটা হত্যাকান্ড হয়েছে, ঘাতকদের চিহ্নিত করা হয়েছে ও হত্যার চার্জশিট আটকে দেওয়া হয়েছে এর কারণ আমরা জানতে চাই।
নারায়ণগঞ্জ শহরের অন্যতম চাঞ্চল্যকর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ৯২ মাস অতিবাহিত হলেও বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ কেন’ জানতে চেয়ে মাহবুবুর রহমান মাসুম এমম মন্তব্য করেন ।
রোববার (৮ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক জোটের সমাবেশ ও আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
মাহবুবুর রহমান মাসুম তার বক্তৃতায় আরো বলেন, ‘এই নারায়ণগঞ্জবাসী কি সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি থাকবে ? নারায়ণগঞ্জে কি সন্ত্রাসীদের রাজত্ব চলবে। জনতার শক্তি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার শক্তি। অথচ এই শক্তিকে প্রধানমন্ত্রী অবহেলা করেছেন। আমরা আইনের শাসনে বিশ্বাসী কিন্তু আপনি নন। আপনি ডিকটেটর হয়ে গেছেন। ৯২ মাস পার হয়েছে কিন্তু আপনার মন গলেনি। আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী থেমে থাকবো না। আমাদের এই আন্দোলন চলমান থাকবে।’
সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ত্বকীর পিতা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, নাগরিক কমিটির সভাপতি এবি সিদ্দিক, সিপিবির জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, খেলাঘর আসরের সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্যসচিব হালিম আজাদ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি হাফিজুর রহমান, জেলা ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি জাহিদুল হক দিপু।
সমাবেশ শেষে শহীদ মিনারে মোমশিখা প্রজ্বালন করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ, সমমনার সভাপতি দুলাল সাহা, নারী নেত্রী রাশিদা বেগম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ ত্বকী নারায়ণগঞ্জ শহরের বাসার সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। ওই দিন ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি এ ব্যাপারে সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ৮ মার্চ সকালে ত্বকীদের বাসার অদূরে শহরের ৫ নম্বর খেয়াঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর শাখা খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এই হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে প্রতি মাসে আলোক প্রজ্বালন কর্মসূচি পালন করে আসছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট।









Discussion about this post