নারায়ণগঞ্জে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়ে পৌঁছে গেছে ৯২৩ জনে।
আইইডিসিআর এর তথ্য অনুযায়ী আজ আজ ৩০ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত এ রিপোর্ট দেয়া হয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৬০ জন নতুন করে আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন। আশার কথা হল গত ৫দিনে জেলায় নতুন কোন মৃত্যুর খবর দেয়নি আইইডিসিআর।
তবে জেলা প্রশাসনের হিসেব অনুযায় এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪২ জনের মৃত্যুর খবর দিলেও আইইডিসিআর এর তথ্যে এ সংখ্যা ৩৯ জনেই আছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য এবং আইইডিসিআর এর তথ্যে গড়মিলের বিষয়ে কোন জবাব পাওয়া যায়নি।
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে আজ সকাল পর্যন্ত জেলার মোট ২ হাজার ৮ শ’ ৭০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৬৩ জনের। আজ পর্যন্ত আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ৮৯৫ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ৪২ জন আর সুস্থ্য হয়েছেন ৩০ জন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকার ৬৬৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঘোষিত ফলাফলে আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ৫৫৮ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২৮ জন আর সুস্থ হয়েছেন ১৮ জন। নারায়ণগঞ্জ সদর থানা এলাকায় ১৫২৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রাপ্ত ফলাফলে আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ২৫৮ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ১০ জন এবং আরোগ্য লাভ করেছেন ৮ জন। আড়াইহাজার উপজেলায় ২১৪ জনের নমুনা সংগ্রহের পর প্রাপ্ত ফলে আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ২৩ জন। এরমধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৩ জন। রুপগঞ্জ উপজেলার ১৫৭ জনের নমুনা সংগ্রহের পর প্রাপ্ত ফলাফলে আক্রান্ত সনাক্ত ১৩ জনের মধ্যে মারা গেছেন ১ জন এবং সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন ১ জন।
সোনারগাঁ উপজেলায় ১২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছে ২৬ জনের মধ্যে। তাদের মধ্যে ২ জন মারা গেছেন। বন্দর উপজেলায় (নারায়ণগঞ্জ নগরীর বাহিরে) ১৮০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ১৭ জন আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ১ জন মারা গেছেন।
এদিকে আইইডিসিআর ঘোষিত তথ্য অনুযায়ী গত ৮ মার্চ দেশের প্রথম ৩ জন করোনা আক্রান্ত ব্যাক্তি সনাক্ত হয় নারায়ণগঞ্জে।
এরপর ৬ এপ্রিল দুপুর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে মোট আক্রান্ত ছিল ২৩ জন।
৭ এপ্রিল তা হয় ৩৮ জনে।
৮ এপ্রিল এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৬ জনে,
৯ এপ্রিল ৫৯ জনে,
১০ এপ্রিল ৭৫ জনে,
১১ এপ্রিল ৮৩ জনে,
১২ এপ্রিল ১০৭ জনে,
১৩ এপ্রিল ১৪৪ জনে,
১৪ এপ্রিল ১৬৪ জনে
১৫ এপ্রিল ২১৪ জনে।
১৬ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত আক্রান্ত ২৫৫ জন,
১৭ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত ছিল মোট ২৮৯ জন।
১৮ এপ্রিল সকালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০৯ জনে, ১৯ এপ্রিল ৩৮৬ জনে, ২০ এপ্রিল ৩৮৭ জনে, ২১ এপ্রিল ৪৬৯ জনে, ২২ এপ্রিল ৫০৮ জনে, ২৩ এপ্রিল ৫৩২ জনে, ২৪ এপ্রিল ৫৬৬ জনে, ২৫ এপ্রিল ৫৯৪ জনে, ২৬ এপ্রিল ৬২৫ জনে, ২৭ এপ্রিল ৬৯৯ জনে, ২৮ এপ্রিল ৮৪৯ জনে, ২৯ এপ্রিল ৮৬৩ জনে এবং আজ ৩০ এপ্রিল সকাল পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৯৬৩ জনে।
গত ৩০ মার্চ নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর বন্দর থানার রসুলবাগ এলাকায় এক নারী প্রথম জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মারা যান। এরপরই জেলায় করোনার প্রকোপ ব্যাপকভাবে প্রকাশ হতে শুরু করে।









Discussion about this post