যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের আহবায়ক রফিউর রাব্বি ৪ নভেম্বর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে বিশ্ববাজারে জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির কথা বলে সরকার বুধবার রাতে দেশে ডিজেল ও কেরোসিন তেলের দাম বৃদ্ধির এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এবং রাত থেকেই তা কার্যকরী করে ফেলে। ডিজেলের দাম এক লাফে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকায় উন্নিত করে, যা বৃদ্ধির হার ২৩ শতাংশ। আমরা দেখেছি বিশ্ববাজারে এই জ্বালানী তেলের দাম যখন কমে আসে তখন তার সাথে সমন্বয় করে দেশে জ্বালানীতেলের দাম কমানো হয় না। অথচ বৃদ্ধির সাথে সাথে দেশে জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়।
আমরা লক্ষ করলাম গতরাতে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে সকাল থেকেই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে নন-এসি বাস ভাড়া ৩৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে। এখানে বাসের ভাড়া বৃদ্ধির কোন নিয়ম-পদ্ধতি না থাকায় পরিবহন মালিকরা নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো ভাড়া বাড়িয়ে নিচ্ছে। ইতোপূর্বে বহুবার তারা তা করেছে। এখানে প্রশাসন বিভিন্ন সময় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হওয়ায় জনগণকে বার বার এই পরিবহন মালিকদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। জ্বালানী তেলে সরকারের বর্ধিত দাম অনুপাতেও যদি ভাড়া বৃদ্ধি করে তা হলে ৩৬ টাকার ২৩ শতাংশ বর্ধিত মূল্য ৮ টাকা। যেখানে মোট ভাড়া দাঁড়ায় ৪৪ টাকা।
দেশে এক শ্রেণির মানুষ পর্যাপ্ত টাকার মালিক হলেও সিংহভাগ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের আয় বাড়েনি। বরং জীবনের মান ক্রমাগত নিম্নমূখি। এই করোনা কালে তা এক ভয়াবহ পর্যায়ে উপনিত হয়েছে। অথচ এই সময়ে এই জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি অন্যায়, অমানবিক ও জনগণের প্রতি নিষ্ঠুরতা। আমরা এই বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি এবং ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের বর্ধিত বাসভাড়া প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করছি।
এদিকে জ্বালানী তেলের এ মূল্য বৃদ্ধি ও অযৌক্তিক ভাবে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ রুটের ভাড়া বৃদ্ধিও প্রতিবাদে আগামী ৬ নভেম্বর বিকাল সাড়ে তিনটায় নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে এক প্রতিবাদী সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।









Discussion about this post