নারায়ণগঞ্জ জেলা যেন মগের মুল্লুক ! যা আবার প্রমাণ করেছে সিদ্ধিরগঞ্জের প্রভাবশালী চক্র । সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও জেলার সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ ছাড়াও ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়ন, গোগনগর ইউনিয়ন, এনায়েত নগর ইউনিয়নে হাজার হাজার অবৈধ সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রভাবশালী চক্র ।
কাশিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের বহিস্কৃত নেতা আনিসুর রহমান শ্যামল সম্প্রতি কয়েকশত অবৈধ সংযোগ দিয়ে প্রতিটি সংযোগ থেকে দেড় থেকে ২ লাখ টাকা গ্রহণ করেছে বলে জোড়ালো অভিযোগ উঠেছে । তেমনি সিদ্ধিরগঞ্জে জাভেদ বাহিনী অবৈধ সংযোগ দিয়ে বিশাল বাণিজ্য চালিয়ে আসছিলো !
সিদ্ধিরগঞ্জে হাউজিং আবাসিক এলাকায় রাতের আঁধারে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সময় সকল অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
আজ সন্ধ্যায় তিতাস গ্যাস কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে এ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এ সময় সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাভেদের ৪২০ ফুট অবৈধ গ্যাস সংযোগের পাইপ জব্দ করে তিতাস কর্তৃপক্ষ।
হাউজিংবাসীরা জানায়, হাউজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাভেদ মিয়া, মোস্তফা ওরফে ফটকা মোস্তফা, মুরগী লিটন, রফিক মিয়ার সহায়তায় রাতের অন্ধকারে অবৈধ দুটি গ্যাস লাইন নেওয়ার চেষ্টা করে। পৃথক দুইটি ৪২০ ফুট গ্যাস পাইপ ফেলে গ্যাসের মূল পাইপ থেকে সংযোগের কাজ করছিল।
এ সময় খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মী, থানা পুলিশ ও তিতাস গ্যাসের লোকজন ছুটে এলে জাভেদ তার লোকবলসহ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
তারা আরো জানায়, জাভেদের নেতৃত্বে হাউজিং এলাকায় কয়েকশত অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি অবৈধ গ্যাস সংযোগের জন্য দুই থেকে তিন লাখ টাকা নিয়েছে জাভেদ। অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়ে জাভেদ ও তার লোকবল কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তিতাস গ্যাস কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, অবৈধ গ্যাস সংযোগের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মামলা গ্রহনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ।









Discussion about this post