প্রাণঘাতি করোনাভাইরানের বিস্তার প্রতিরোধে ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলায় সব ধরনের সভা সমাবেশ, সকল পর্যটন কেন্দ্র, পার্ক, জাদুঘর এবং কমিউনিটি সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন।
৩১ মার্চ বুধবার রাতে জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বিষয়ে জানানো হয়।
ওই নির্দেশনায় জানানো হয়, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধকল্পে আগামী ১ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলায় সকল পর্যটন কেন্দ্র, বিনোদন পার্ক, জাদুঘর, কমিউনিটি সেন্টার এবং সভা সমাবেশ বন্ধ থাকবে।’
এর আগে করোনা প্রতিরোধে ১৮টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৮টি নির্দেশনাগুলো হলো : সকল ধরণের জনসমাগম ও বিয়ে জন্মদিনসহ অন্যান্য সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয় অনুষ্ঠান সকল ধরণের মেলা আয়োজন সীমিত করতে হবে, প্রয়োজনে বন্ধ রাখতে হবে। মসজিদসহ অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালন করতে হবে। পর্যটন/বিনোদন কেন্দ্র/ সিনেমা হল/ থিয়েটার হল/ শপিং মল যাতায়াত সীমিত করতে হবে এবং নিরুৎসাহিত করা হবে। হোটেল-রেঁস্তোরাসমূহে ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক মানুষ প্রবেশ করতে পারবে না। গণপরিবহণে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগ যাত্রী পরিবহন করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতে আন্ত: জেলা যান চলাচল সীমিত করতে হবে ও প্রয়োজনে বন্ধ করা হবে। করোনা আক্রান্ত/লক্ষণ যুক্ত ব্যক্তি ও তাদের ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসা ব্যক্তি এবং বিদেশ হতে আগত যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হবে। সকল ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। যেকোন ধরণের গণপরীক্ষায় যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে হবে। সভা সেমিনার কর্মশালা অনলাইনে আয়োজন করতে হবে। ঘরের বাইরে অপ্রয়োজনীয় আড্ডা এবং রাত ১০ টার পর ঘরের বাইরে বের হওয়া বন্ধ থাকবে। সরকারি-বেসরকারি অফিস ও শিল্পকারখানায় বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালন করে ৫০ ভাগ জনবল দ্বারা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। গর্ভবতী/অসুস্থ/৫৫উর্ধ্ব কর্মকর্তা কর্মচারী বাড়িতে বসে কর্মসম্পাদন করবেন। জরুরী প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্য বিধি লঙ্ঘিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জরুরী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য খোলা উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ক্রয় বিক্রয় করতে হবে। স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান ও ঔষধের দোকানে মাস্ক পরিধানসহ যথাযথ স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালন করতে হবে।









Discussion about this post