নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা এক আসামি যশোর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড থেকে হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে গেছেন।
রোববার রাত ১০টার দিকে ওয়ার্ডের একটি জানালা ভেঙে পালিয়ে তিনি যান বলে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিনকান্তি মণ্ডল জানিয়েছেন।
গণমাধ্যমকে তুহিন কান্তি মণ্ডল তিনি বলেন, ২৫ বছর বয়সী এই তরুণ নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইনের একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। তার বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায়। এই তরুণ সাড়ে চার বছর আগে যশোরের মনিরামপুরে বিয়ে করে সপরিবার যশোর শহরের বারান্দিপাড়ায় বাস করতেন। কিছুদিন আগে স্ত্রীকে তালাক দেন তিনি।
এই দম্পতির তিন বছরের একটি মেয়ে আছে জানিয়ে জেলার তুহিনকান্তি বলেন, পরে সুজন বারান্দিপাড়া এলাকার এক ব্যাংক কর্মকর্তার অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ ওঠে । এ ঘটনায় নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইনে সুজনের নামে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন মেয়েটির বাবা। পুলিশ তাকে ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে আনে ।
১০ এপ্রিল তাকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।
জেলার বলেন, ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকায় তাকে কারাগার থেকে ওই দিন সন্ধ্যায় যশোর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। সেখান থেকে রাতে জানালা ভেঙে হ্যান্ডকাপসহ সুজন পালিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম।









Discussion about this post