নির্বাচন এলেই নানাভাবেই প্রার্থীদের নানা আচরণে ব্যাপক চাঞ্চ্যল্যের সৃষ্টি হয় । এবারো নানা কারণে নাসিক নির্বাচনকে ঘিবে চাঞ্চল্যের ঝড় চললেও এবার খোদ বিএনপির এক নেতার জন্য আওয়ামীলীগের একজন নেতা নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে দেয়ায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে নগরজুড়ে । যা এখন “টক অব দ্যা টউন”
গত নির্বাচনে পরাজিত হলেও এবারও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রবিউল হোসেন। এই প্রস্তুতি ছিল গত ৫ বছর ধরেই। সিটি নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার আগে থেকেই ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। কিন্তু শেষ সময়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষদিনে রবিউল হোসেন তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।
রবিউল হোসেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ অনুসারী। গত নির্বাচনেও পরোক্ষভাবে শামীম ওসমানের আশীর্বাদ ছিল তার উপর। তবে ওই নির্বাচনে মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের সাথে ভোটের মাঠে পরাজিত হন। এর আগেরবারও তিনি হেরেছিলেন খোরশেদের সাথেই।
তবে আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় সিটি নির্বাচনে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে লড়াই করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত রেখেছিলেন রবিউল। শেষ সময়ে সরে দাঁড়িয়ে খোরশেদের পথ সুগম করে দিলেন।
ঠিক কী কারণে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন জানতে রবিউল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে একটি সূত্র বলছে, গত দুইবার পরাজিত হলেও এইবারের প্রস্তুতি ছিল জোরদার। শেষ সময়ে কী কারণে রণে ভঙ্গ দিলেন সেই তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে প্রভাবশালী একজনের নির্দেশেই রবিউল সরে দাঁড়িয়েছেন বলে খবর রয়েছে।
এদিকে রবিউল হোসেন সরে দাঁড়ানোয় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মাকছুদুল আলম খোরশেদ৷ তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রবিউল হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লেখেন, ‘আমি রবিউল ভাইসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ’ ।









Discussion about this post