নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন ই কোন না কোন আলোচনা সমালোচনা নিয়ে মহানগরী থাকে সরগরম । গত কয়েকদিনের আলোচনা সমালোচনার পর এবার নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রবিউল হোসেনকে দল থেকে বহিস্কার করার খবরে তোলপাড়ের সষ্টি হয়েছে সর্বত্র।
কেন রবিউলকে বহিস্কার করা হলো ? তিনি তো পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করেন, কোন হাঙ্গামা, কুট কৌশল, অপরাধ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ কিংবা কোন সন্ত্রাসী বাহিনীও নাই তার, সাদামাঠা মানুষ রবিউল , সারাদিন ই নগরীর কাউসারের চা স্টলে দেখা যায় তাকে – তবে কেন এই বহিস্কার ? কি করেছেন রবিউল ? এমন হাজারো প্রশ্নের পর উঠে এসেছে তিনি বারংবার একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠির কারণে নির্বাচন এলেই কুটকৌশলের কাছে পরাস্ত হন । আর ওই চক্রের কারণে রবিউল হোসেন হাজারো ত্যাগ স্বীকার করলেও বারবার বিএনপির নেতার কারণে শক্তিশালী গোষ্ঠির কাছে ধিকৃত হয়েছেন । যে গোষ্ঠির নাম শহরবাসী মুখে আনতেও সাহস করে না।
শহরের একটি বিশেষ ক্লাবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রবিউলকে ডেকে নিয়ে শাসানো হয়েছে বলেও চাউর রয়েছে নগরীতে। এরপরই নির্বাচন তেকে সরে দাঁড়ান রবিউল হোসেন । আর গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে সকল তথ্য থাকলেও কেউ এক কলম লিখতে সাহস কর না ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে ।
এমন মন্তব্য নগরীর সেই বিখ্যাত বোস কেবিনের বৃহস্পতিবারের চায়ের আড্ডার । যা বুধবার বিকেলে রবিউল হোসেনের উপর এমন খড়গ নেমে আসার পর খেকেই এ বিষয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা ।
আরেক প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন (নাসিক) থেকে সরে দাঁড়ানোয় নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রবিউল হোসেন কে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকারের (মেয়র প্রার্থী) ছোট ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তাকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান রবিউল হোসেন।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের দলীয় সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর কবির নানক জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
বিষয়টি নিশ্চিত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘এটা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্য বার্তা। যারা দলে বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা এবং মুনাফেকি করবে তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
নানক বলেন, ‘‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতির সংলাপ করে ইসি গঠন কোনও সমাধান আসবে না। তবে তারা কোন পথে হাঁটতে চান।’ অগণতান্ত্রিক, শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্ন করে কোনও পথে এগোতো চাইলে শক্ত হাতে জবাব দেওয়া হবে। বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ না নিলেও নিরপেক্ষ একটি বিএনপি সৃষ্টি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকারের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে তাদের শিক্ষা হওয়া উচিত। কিছু মানুষ আছে গণতান্ত্রিক পথে হাঁটতে চায়। কিন্তু লন্ডনে থাকা এক ব্যক্তির (তারেক রহমান) চাপে বিএনপি নামের দলটি নিশ্চিহ্ন হচ্ছে।’’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে মনোনয়ন দিয়েছেন। শেখ হাসিনার প্রার্থীর প্রতি আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আছেন। নৌকার বাইরে কেউ থাকবে না। কেউ দলের বিরুদ্ধে গিয়ে গোপনে অন্য কোনও প্রার্থীকে সমর্থন বা ইন্ধন দিলে সেটি আমাদের গোচরে এলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনসহ অনেকে।









Discussion about this post