নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
ডিবি পুলিশের দুই কর্মকর্তা আলমগীর ও জাহাঙ্গিরসহ পুলিশের সোর্স আনোয়ার এবং ক্যাশিয়ার নুরু মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেও শেষ রক্ষা হলো না ফতুল্লার তেলচোর হিসেবে পরিচিত ইকবাল হোসেন চৌধুরীর ।
শুক্রবার গভীর রাতে দঃ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ ও নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ঢাকা জেলার দঃ কেরানীগঞ্জ থানার জাজিরা মোল্লার হাট এলাকার সালাউদ্দিনের বাড়ী থেকে আটক করে । সালাউদ্দিন ও ইকবাল ঘনিষ্ট বন্ধু বলে জানায় ফতুল্লার ইকবাল চৌদুরীর পরিবার ।
তেলচোর ইকবাল চৌধুরীকে গ্রেফতারের ঘটনা অস্বীকার করেছে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের দারোগা আলমগীর হোসেন ।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানা সংলগ্ন লঞ্চ ঘাট এলাকা থেকে ১০ মার্চ রোববার সন্ধ্যায় জেলা ডিবি পুলিশের দারোগা আলমগীর হোসেন অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত তেল চোরাকারবারী ইকবার চৌধুরীর অবৈধ চোরাই তেলের গোডাউনে হানা দিয়ে রুবেল চৌধুরী, কামাল হোসেন, লোকমান হোসেনকে আটক করে । আটকের ঘটনা জানতে গণমাধ্যমকর্মীরা যোগাযোগ করলে দারোগা আলমগীর রোববার সন্ধ্যায় বলেন, “অভিযান চলছে । শেষ হওয়ার পর আপনাদেরকে সকল তথ্য জানানো হবে ।“ তিনজনকে আটকের পর প্রায় ৩০ ঘন্টা অতিবাহিত হলে ১১ মার্চ দিবাগত রাত ১২টার পর ফের তেল চোরদের বিষয়ে তথ্য জানতে দারোগা আলমগীরের সাথে যোগাযোগ করলে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি বলেন, অভিযান শেষ হয়েছে, অনেক রাত তাই হয়তো যদি সম্ভব হয় ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করবো এবং মঙ্গলবার দুপুরে আসামীদের আদালতে চালান করা হবে ।
জেলা ডিবি পুলিশ কর্তৃক ফতুল্লা থানায় দায়ের করা মামলা থেকে জানা যায়, রুবেল চৌধুরী, কামাল হোসেন, লোকমান হোসেনকে গ্রেফতার দেখানো হয় এবং পলাতক আসামী দেখানো হয়েছে তেল চোরের মূল হোতা ইকবাল হোসেন চৌধুরী, ফাজিলপুরের পাগলার মেয়ের জামাই ইব্রাহীম (৫৫), নূরা সেক্রেটারীর ভাই আবু সালাম (৫০), রহমতউল্লাহ ভান্ডারির ছেলে রনি ভান্ডারি (৩৮), সাবেক এমপি কবরীর ক্যাডার ও পঞ্চবপি ডালডা রোডের হাবিবুর রহমান মুন্সীর ছেলে পাভেল (৪০), ফাজিলুপুরের পাগলা রনি, ভান্ডারির মেয়ের জামাই রাসেল, ট্যাংক লড়ি মালিক সমিতির সভাপতি রহমতউল্লাহ ভান্ডারি, পঞ্চবটির বাবু চৌধুরী, পঞ্চবটির কোটিপতি বাবু (৪২), যমুনা ডিপো সংলগ্ন তিতাস মার্কেটের দোকানি ও আলেকের ছেলে রুবেল, একই এলাকার সরদার বাড়ির সাবেক যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম হিরো (৫২) এবং শহরের পাইকপাড়া/বাবুরাইল এলাকার মোফাজ্জল হোসেনকে আসামী করা হয় । আর এই মামলায় উদ্ধার দেখানো হয়েছে ৫৭ ব্যারেল (ড্রাম) জ্বালানী তেল । যা নিয়ে অভিনন্দনের পরিবর্তে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সর্বত্র।
নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের এমন অভিযানের পর নিজেকে তেল ব্যবসায়ী দাবী করে ২ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে ইকবাল চৌধুরী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে মামলাটি দায়ের । মামলায় আসামী করা হয় কুখ্যাত সোর্স আনোয়ার, ডিবি পুলিশের ক্যাশিয়ার নূরু মিয়া ও ডিবি পুলিশের দারোগা আলমগীর হোসন ও জাহাঙ্গির হোসেনসহ আরো ৩/৪জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে ।
পরস্পর বিরোধী মামলার পর নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ ও দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে আনা হয়েছে বলে ইবাল চৌধুরীর ভাতিজা জাকির হোসেন চৌধুরীর ছেলে নারায়ণগঞ্জ কলেজের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র সিফাতসহ পরিবারের লোকজন দাবী করলেও নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ও দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান তা অস্বীকার করেন ।
সিফাত নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেটকে বলেন, তার চাচ্চু (ইকবাল চৌধুরী) কে গেলো রাতে আটক করে আনা হয় । ডিবি পুলিশের কাছে পরিবারের লোকজন যাবার পর তারা অস্বীকার করেছেন ।
এ বিষয়ে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহজাহান বলেন, এমন কোন তথ্য আার জানা নাই ।
তেলচোর ইকবাল চৌধুরীকে আটকের বিষয়ে ফের নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ইন্সপেক্টর (ডিআই ২) সাজ্জাদ রুমন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই । তবে খোজ নিয়ে দেখতে হবে ।









Discussion about this post