সদর উপজেলার কুরবানীর পশুর হাটের সিডিউল ক্রয়ে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। কেউ সিডিউল ক্রয় করলে হাত কেটে নেয়া হবে, রক্তের বন্যা বইয়ে দেয়া হবে এ ধরনের ভয়ঙ্কর হুংকার দিয়ে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের রুমের দরজায় লাথি মেরে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে।
ঘটনার পরপরই পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুরে ঘন্টাব্যাপী নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহীর কর্মকর্তার অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের পুরান সৈয়দপুর (কয়লাঘাট সংলগ্ন) এলাকায় আলী আকবরের নিজস্ব ভুমিতে অস্থায়ী পশুর হাটের সিডিউল ক্রয়ে বাধা দেয় স্থানীয় বেপারীবাড়ি জামে মসজিদের সেক্রেটারি নাজির আহমেদের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন। এনিয়ে নাজির ও তার লোকজন সিডিউল বিক্রেতা উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা মনিরুল ইসলামের কক্ষের দরজায় লাথি ও ধাক্কা মেরে ভাংচুরের চেষ্টা করে।
এসময় পুলিশ ও আনসার সদস্যরা নাজির ও তার উত্তেজিত লোকজনকে উপজেলা ভবনের বাহিরে বের করে দিয়ে কলাপসিবল গেইট বন্ধ করে দেয়। তখন নাজির ও তার লোকজন আবারো উত্তেজিত হয়ে কলাপসিবল গেট ধাক্কা দিয়ে ভাঙ্গার চেষ্টা করে।
এসময় তারা হুংকার দিয়ে বলেন, পুরান সৈয়দপুর (কয়লাঘাট সংলগ্ন) এলাকায় আলী আকবরের নিজস্ব জমিতে বসা হাটের সিডিউল কেউ কিনলে তার হাত কেটে নেয়া হবে। রক্তের বন্যা বইয়ে দেয়া হবে। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। উত্তেজনার এক পর্যায়ে সিডিউল বিক্রি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়। পরে বেলা ১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফা জহুরা পুলিশ ও সেনা সদস্যদের নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এ বিষয়ে বেপারীবাড়ি জামে মসজিদের সেক্রেটারি নাজির আহমেদ জানান, আমরা মসজিদের উন্নয়নের জন্য এলাকার যুব সমাজকে সাথে নিয়ে কয়লা ঘাট সংলগ্ন হাটটি প্রস্তুত করেছি। আজ সেই হাটের সিডিউল বিক্রি হচ্ছে উপজেলায়। আমাদের দাবি আমাদের এ হাটের সিডিউল যাতে কেউ না ক্রয় করে এজন্য উপজেলায় সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে। তারপরও কিছু লোকজন ওই হাটের সিডিউল ক্রয়ের চেষ্টা করছে। এতে আমাদের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করেছে। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরিফা জহুরা বলেন, কুরবানীর পশুর হাটের সিউিউল যে কেউ ক্রয় করতে পারবে। যদি কেউ বাধা সৃষ্টি করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, এ বছর নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের আওতাধীন এলাকায় ১৩টি অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারা আহ্বান করা হয়েছে। যার মধ্যে গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় ৫টি ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় ৫টি হাটের ইজারা আহবান করা হয়েছে।









Discussion about this post