করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিন চলছে। এ সময় গার্মেন্টস সহ শিল্প কারখানা চালু রাখায় নারায়ণগঞ্জের শ্রমিকরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। যানবাহন না থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১ লা জুলাই) সকালে জেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও রিকশা ও ব্যক্তিগত কিছু গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে। অতিরিক্ত ভাড়ার কারণে গার্মেন্টস কর্মীরা রিকশায় না চড়ে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
বিসিক শিল্পনগরীর ফারজানা নামে এক শ্রমিক বলেন, ‘কঠোর লকডাউনে যানবাহন বন্ধ রেখে গার্মেন্টস চালু রেখেছে। এতে করে আমাদের মত হাজার হাজার শ্রমিকদের ৬-৭ মাইল পথ পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে। চাকরি বাঁচাতে কষ্ট করে পায়ে হেঁটে আসতে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রিকশায় আমার বাসা থেকে কর্মস্থলে যেতে ভাড়া চায় ১০০ টাকা। কিন্তু আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের এতো টাকা ভাড়া দিয়ে চলাচল করলে বেতন যা পাই এখানেই দিয়ে দিতে হবে।’

এদিকে, শহরের চাষাড়ায় সকাল ৭টার দিকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বহন করা একটি বাস আটকে দেয় পুলিশ। এতে শ্রমিকরা পড়েন বিপাকে। তারা বিভিন্ন ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এ সময় গার্মেন্টস শ্রমিক শাহ আলম বলেন, ‘যানবাহন বন্ধ রেখে গার্মেন্টস চালু রেখেছে। দূরের রাস্তা অতিক্রম করে কীভাবে গার্মেন্টসে যাব। গার্মেন্টস চালু যেহেতু রেখেছে সেহেতু সরকারের উচিত পুলিশ প্রহরায় শ্রমিকদের ভিন্ন পন্থায় কর্মস্থলে পৌঁছে দেয়া।’
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা জহুরা জানান, কঠোর বিধিনিষেধে বিনা কারণে কেউ বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে চলাচল করতে বলা হচ্ছে। বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছে। সরকারের বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে। সূত্র : জাগো নিউজ









Discussion about this post