গভীর রাত তিন টায় । নারায়ণগঞ্জ জেনারেল ( ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে র্যাব ১১ পেটের ভিতরে এক হাজার ইয়াবা রয়েছে মর্মে গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর হাসানকে ভর্তি করে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক জি এম মোস্তফা । অভিনব কায়দায় পেটের ভিতর ইয়াবা পাচারের সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়ে জাহাঙ্গীর কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
রাতে হাসপাতালে তর্তিব পর সকালে এক্স-রে করে গ্রেপ্তারকৃতের নাম মো.জাহাঙ্গীর হাসানের পেটের ভিতরে ছোট ছোট পুটলির অস্তিত্ব পাওয়া যায় ৷ এরপর তার কাছ থেকে ৯’শ ৪০ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
৯ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২ টা ৪০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকা থেকে এ মাদকব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়গ্রেফতার ও পেটের ভিতর থেকে মাদক উদ্ধারের বিষয়টি ।
নওগাঁর একজন ইয়াবা পাচারকারী দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে অভিনব কৌশলে বাসযোগে ইয়াবা পাচার করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ অক্টোবর উক্ত ইয়াবা পাচারকারী একই কৌশলে চট্টগ্রাম হতে বাসযোগে ঢাকায় ইয়াবা নিয়ে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল রাত ১২.১০ ঘটিকার সময় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাং রোডস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চেকপোষ্ট স্থাপন করে। চেকপোষ্টে গাড়ী থামিয়ে তল্লাশীকালে চট্টগ্রাম হতে ঢাকাগামী ইউনিক পরিবহনের একটি বাস থেকে সন্দিগ্ধ হিসেবে মো. জাহাঙ্গীর হাসানকে আটক করা হয়। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাহাঙ্গীর হাসানের কথা ও আচরণে অসংলগ্নতা ও অস্বাভাবিকতা প্রকাশ পেলেও ইয়াবা পাচারের বিষয়ে সে অস্বীকার করে।
অতঃপর গোপনসূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী তার পেটের ভিতর ইয়াবা রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জের সদর থানাধীন ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে এক্স-রে করে দেখা যায় তার পেটের ভিতর অসংখ্য ডিম্বাকৃতির বস্তু বিশেষ রয়েছে। পরবর্তীতে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর হাসান স্বীকার করে যে তার পেটের ভিতর লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো ছোট ছোট ২০টি ইয়াবার পোটলা রয়েছে যার প্রত্যেকটিতে ৪৭ পিস করে মোট ৯৪০পিস ইয়াবা রয়েছে। সে আরও স্বীকার করে যে, চট্টগ্রামে এই ইয়াবার পোটলাগুলো সে খাবারের সাথে গিলে খায় এবং পরবর্তীতে কলা এবং পাউরুটি খেয়ে সেই পোটলাগুলো পায়ু পথ দিয়ে বের করে।
অতঃপর তাকে কলা এবং পাউরুটি খাওয়ানোর পর হাসপাতালের টয়লেটে গিয়ে তার পায়ু পথ দিয়ে লাল টেপ মোড়ানো ছোট ছোট ডিম্বাকৃতির ২০টি পোটলা বের করে দেয়। উক্ত পোটলাগুলো হতে প্রত্যেকটিতে ৪৭ পিস করে মোট ৯৪০ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামী দীর্ঘদিন যাবৎ এভাবে অভিনব কৌশলে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় মাদকদ্রব্য ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।









Discussion about this post