মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মুক্তারপুরের এলাইড হিমাগারে অভিযান চালিয়ে ৮ হাজার কেজি খাওয়ার অনুপযোগী পঁচা খেঁজুর জব্দ করা হয়েছে। এ সময় খেজুরের প্যাকেটে ইঁদুরের বাচ্চাও পাওয়া গেছে।
জব্দকৃত খেজুরের আনুমানিক মূল্য বাজার মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা।
এ সময় হিমাগারের ম্যানেজার আতাউল্লাহকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (২১ এপ্রিল) সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এনডিসি মাহমুদ আশিক কবিরের নেতৃত্বে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা লাগোয় মুন্সীগঞ্জের এই হিমাগার থেকে নারাযণগঞ্জের বাজারগুলোতে এই খেজুর বিক্রি করার কথা ছিলো অসাধু এই চক্রের । ২০১৯ সালে ২৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দুইটি হিমাগারে অভিযান চালিয়ে প্রায় একশ’ কোটি টাকা মূল্যের মেয়াদোত্তীর্ণ ও পঁচা খেজুর জব্দ করেছিরো র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত । একই সাথে এই ভেজাল খাদ্যদ্রব্য মজুদ ও বাজাতজাতকরণের চেষ্টার অপরাধে একটি হিমাগারকে নগদ পঞ্চাশ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
ওই সময়ে র্যাবের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট সারোয়ার আলমের নের্তৃত্বে র্যাব-১১’র একটি দল সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার ধর্মগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত দৈনিক ইনকিলাব এর সম্পাদক এ এম বাহাউদ্দিনের মালিকানাধীন শাহীন এন্ড ব্রাদার্স কোল্ড স্টোরেজ ও নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক নারায়ণগঞ্জের সাবেক সাংসদ এস এম আকরামের যৌথ মালিকানাধীন আদর্শ কোল্ড স্টোরেজে এ অভিযান চালিয়ে শত কোটি টাকার পঁচা খেজুর জব্দ করেছিলো ।ওই ঘটনায় মামরা দায়ের হলেও পরবর্তীতে আর কোন অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় নাই ।
ফলে ২০১৯ সালের শত কোটি টাকার পঁচা খেজুর চক্রের হোতারানারায়ণগঞ্জের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পাশ্ববর্তীজেরা মুন্সীগঞ্জের হিমাগারকে বেছে নিয়ে এমন অপরাধ চালিয়ে আসছিলো ।
এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জের মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও এনডিসি মাহমুদ আশিক কবির জানান, নিয়মানুযায়ী যথাযথভাবে সংরক্ষণের অভাবে খেঁজুরগুলো নষ্ট হয়ে খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এই নষ্ট খেঁজুরই বাজারজাত করা হচ্ছিল। ফাঙ্গাস জমে যাওয়া এই পঁচা খেঁজুর খেলে মানুষের রোগাক্রান্ত হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। তাই নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ ধারা অনুসারে হিমাগারের ম্যানেজারকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। খাবারের যথাযথ মান বজায় রাখতে অভিযান চালানো হয়।
জেলা স্যানেটারি পরিদর্শক গাজী মো. আমিন জানান, পলিথিনে না রেখে খেজুরগুলো খোলা রাখার কারণেই ফাঙ্গাস জমে যায়। খেঁজুরের মধ্যে ইঁদুর বাসা বেঁধে বাচ্চা পর্যন্ত ফুটিয়েছে। রোজাদার মানুষসহ সাধারণ মানুষ এই খেঁজুর খেলে রোগাক্রান্তের মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। পরে জব্দকৃত খেঁজুর নদীর পাড়ে বালুর নিচে পুঁতে রেখে ধ্বংস করে দেয়া হয়।








Discussion about this post