মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, “নির্বাচনের প্রতিটি মূহুর্ত চ্যালেঞ্জিং। আমি জনগণের কাছে যাচ্ছি ভোট চাচ্ছি। আমার কাছে প্রতিটা ঘর, প্রতিটা মুহূর্ত চ্যালেঞ্জিং।”
বুধবার (১২ জানুয়ারী) সকালে শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকায় ১৫ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
আইভী বলেন, এখনো পর্যন্ত পরিবেশ ভালো আছে। ১৬ তারিখ পর্যন্ত এমন পরিবেশ চাই। মানুষ যাতে সুষ্ঠ সুন্দর ভাবে ভোট দিতে পারে।
তৈমূরের অভিযোগ তার নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে ? জবাবে আইভী বলেন, আমি এ বিষয়ে জানি না। তবে শুনেছি সিদ্ধিরগঞ্জে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা আছে তিনি জামিন নেননি। আমি আরো নির্বাচন করেছি। আমার তরফ থেকে সেরকম কিছু ছিল না। সুতরাং যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শহরের পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য কোনো মাদকাসক্ত বা মাদক বিক্রেতাকে ধরে কিংবা টেরোরিস্ট কাউকে ধরে অথবা কিশোর গ্যাংদের যদি ধরে। সেটা যদি করে থাকে তাহলে সঠিক কাজ করেছে। এর বাইরে আমি জানি না কাকে ধরেছে। কারণ, আমি ব্যস্ত।
আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আহ্বান জানাবো সুষ্ঠ সুন্দর ও উৎসবমুখর পরিবেশ রাখার জন্য অবশ্যই যেন তাদের করণীয় কাজ করে।
কোনো বাধা পাচ্ছেন কিনা ? জবাবে তিনি বলেন, আমি নিজে কোনো বাধাপ্রাপ্ত হইনি। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আমার কর্মীকে ফোনে বকাটকা দেওয়া হয়েছে। সামনা সামনি হলে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়ে যায়। এটা হয়ই নির্বাচনে। সিরিয়াস কিছু না।

তৈমূর আলম খন্দকারের সাথে কি বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আছে মনে হয় ? জবাবে আইভী বলেন, আমি জানি না তৈমুর কাকার সাথে কে আছে । বহিরাগতরা আছে কিনা বা সন্ত্রাসীরা আছে কিনা । সন্ত্রাসী যে কারো সাথে থাকতে পারে। সন্ত্রাসীদের কোনো দল নাই, ধর্মও নাই, জাতও নাই। শহরে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তো আছেই। যারা কিশোর গ্যাংয়ের লিডার, যারা মাদক বিক্রেতা। গুণ্ডাবাহিনী থেকে শুরু করে বহুকিছু আছে। তাদেরকে ধরা হোক। আমি কোনো নেতাকে নির্দিষ্ট (ইন্ডিকেট) করে কিছু বলি নাই। আমার চাওয়া এইটা সব সময় ছিল। শহরের পরিবেশ যেন সুন্দর থাকে। কেউ যেন কাউকে ভয়ভীতি দেখাতে না পারে। নির্বাচনে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরী না হয়।
আমি আবারো বলছি, সন্ত্রাসী সন্ত্রাসীই, অপরাধি অপরাধিই। সে কোনো দলের বা গোষ্ঠীর হতে পারে না। সে নিজের স্বার্থে কাজ করে।
ভোট টাকা দিয়ে কেনার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এমন অভিযোগ আমিও পেয়েছি। টাকার ছড়াছড়ি হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। এটাও বন্ধ করতে হবে প্রশাসনকে। সারা বাংলাদেশ জানে আমি গরীব মানুষ। গরীব বলতে আমি অর্থনৈতিক ভাবে সাধারণ জীবন যাপন করি। এটা আমার শত্রু পক্ষও জানে। আমার কাকা তৈমুর আলম খন্দকারও জানে। এবং আমি কখনোই টাকার রাজনীতি করি নাই করবও না। টাকা কোত্থেকে ছড়াচ্ছে, কারা ছড়াচ্ছে এটা আমারো প্রশাসনকে জিজ্ঞাসা।
শামীম ওসমানের কাছে সহযোগিতা পাচ্ছেন কিনা? জবাবে বলেন, এক প্রশ্ন শুনতে শুনতে বিরক্ত। তৈমূর কাকাকে নিয়ে প্রশ্ন করেন। একটা বিশেষ মানুষকে নিয়ে কেন? উনি নৌকার মানুষ, নৌকা ছাড়া কোথায় যাবে ?
১৬ তারিখ নির্বাচন হবে নাকি খেলা হবে ? জবাবে আইভী বলেন, ১৬ তারিখ নির্বাচন হবে। ২০১১ তে নারায়ণগঞ্জে খুব সুন্দর নির্বাচন হয়েছিল। বাংলাদেশ সরকার খুব সুন্দর নির্বাচন করেছে। একদম নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছিল। যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন না হতো, প্রশাসন যদি সহযোগীতা না করতো তাহলে আমি মেয়র হতে পারতাম না।
২০১৬ সালে নির্বাচন করেছি সাখাওয়াতের সাথে। খুব সুন্দর পরিবেশ ছিল সেখানেও কিন্তু উৎসবমুখর পরিবেশে মানুষ ভোট দিয়েছে। ১৬ তারিখেও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিবে। প্রশাসনের কাছে দাবি মানুষ যাতে ভয় না পেয়ে সুন্দরভাবে ভোট দিতে পারে।
হাতি বনে যাবে নাকি নৌকা ডুববে ? জবাবে তিনি বলেন, বনের হাতি বনে যাবে, নৌকা মার্কা জিতে যাবে।









Discussion about this post