বছর ঘুরে আবার এসেছে দূর্গতি নাশিনী দূর্গা । সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শুরু হয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জের দুর্গোৎসবকে ঘিরে চলছে সাজ সাজ রব । দূর্গা মাকে বরণ করতে সকল বয়সীদের জন্য যেমন রয়েছে রংগিন পোষাক, তেমনি রয়েছে প্রসাধন সামগ্রী।
আর এই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসবকে পুজি করে নারায়ণগঞ্জে কোটি কোটি টাকার নকল প্রসাধন সামগ্রী মজুদ করেছে অসাধু দোকানীরা ৷
প্রায় ৯০ শতাংশ প্রসাধন সামগ্রী বিক্রেতা নকল পন্য মজুদ করে ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করছে । এমন খবর পুরো জেলার শত শত দোকানীদের জানা থাকলেও শুধু জানেন না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একধিক সংস্থার সদস্যরা।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে এক কসমেটিকস ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিদেশী পন্যে আমদানি কারকের নাম নেই, মুল্য নেই ! তাহলে শহরে ব্যাপক গুঞ্জন রয়েছে বিদেশী নামীদামী পন্যের হুবহু নকল করে একটি বিশাল চক্র প্রসাধনী সামগ্রী নকলের বাজারে পরিনত করেছে নারায়ণগঞ্জকে ।
বিদেশী এই পণ্য সামগ্রী কি আসলেই নকল কিনা, তা যাচাই করবে কে ? নারায়ণগঞ্জ শহরের হাতেগোনা কয়েকটি প্রসাধনীর দোকান ছাড়া প্রায় সকল দোকানী নকল পণ্য বিক্রি করে একদিকে নিজেরা আংগুল ফুলে কলাগাছ বনে যাচ্ছেন । অপরদিকে এমন হাজারো ভোক্তা সাধারণ নকল পণ্য ব্যবহার করে স্বাস্থ্য ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
শত শত প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে নকলমুক্ত কয়টি দোকান আছে ? আর বিদেশী নাম করে নকল প্রসাধনীর গ্যারান্টি কে দিবেন ? সর্বোচ্চ শতকরা ৫ জন দোকানী বৈধ ব্যবসা করেন কিনা তা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অনেকেই ।
গত ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থাকে ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দেবনাথ ও কামরুল হাসান মারুফ যৌথ অভিযান চালিয়ে ট্রেড লাইসেন্স না থাকা, বিভিন্ন বিদেশী প্রসাধনী পণ্যে আমদানি কারকের নাম ও পণ্যের গায়ে মূল্য না থাকার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ায় অবস্থিত পানোরামা প্লাজায় ৫টি প্রসাধনী দোকানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে । জরিমানা করা দোকানগুলো হলো উৎসব গিফ্ট কর্ণার, শ্রাবণী প্রসাধনী ও সাধারণ বিপনী, রাজু বিউটি কর্ণার, শামা কসমেটিক্স এন্ড জেনারেল স্টোর ও ইভা ফ্যাশন এন্ড জেনারেল স্টোর।
এমন অভিযানের পর নারায়ণগঞ্জ শহরের অসাধু নকল প্রসাধনী সামগ্রীর মজুদদার ও দোকানী/বিক্রেতারা মিলিত হয়ে দুর্গাপূজার বাজারকে সামনে রেখে বিশাল অংকের চাঁদা উত্তোলন করে ।
উত্তোলিত বিশাল এই চাঁদার টাকা প্রশাসনের একজন নাজিরের মাধ্যমে পাঠানো হয় এক শীর্ষ কর্মকর্তা টেবিলে।
দুর্গাপূজার সময় কোন প্রসাধনী সামগ্রীর দোকানে কোন অভিযান যেন পরিচালিত না হয় শহরের মার্কেটগুলোতে এমন মৌখিক চুক্তিতে লেনদেন করা হয় উত্তোলিত ওই অর্থ । বিভিন্ন দপ্তরে চাঁদার অংশ পৌছে দেয়ায় নকল প্রসাধনী সামগ্রীতে সয়লাব নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি মার্কেট।
আর এমন নকল প্রসাধনী সামগ্রী ক্রয় করে একদিকে ভোক্তা সাধারণ যেমন আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তেমনি স্বাস্থ্যের ক্ষতিকর প্রভাব পরছে ।
(এমন বক্তব্য একজন প্রসাধন সামগ্রীর বিক্রেতার বক্তব্য রেকর্ড রয়েছে)
এই ব্যবসায়ী জোড়ালোভাবে আরো বলেন, এমন কর্মকাণ্ড দিনের আলোর মতো পরিস্কার । তাই তাই স্বচ্ছতার সাথে যারা ব্যবসা করেন তাদের হয়রানি না করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা জরুরি । নইলে আর্থিক ও শারিরীক ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভোক্তা সাধারণ ।








Discussion about this post