নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পাগলা তালতলা গরুর হাটে গরু বাঁধাকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকজন চিহ্নিত অপরাধীদের নেতৃত্বে গরু বিক্রেতাদের মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ উঠেছে পাগলার বহুল সমালোচিত অসংখ্য মামলার আসামী ও কুখ্যাত মামলাবাজ বিতর্কিত শ্রমিক লীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশের হামলার সময় উপস্থিত থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে জোড়ালো অভিযোগ তুলেছে গরুর বেপারীদের অনেকেই ।
রোববার ১৮ জুলিই দুপুরে ফতুল্লার পাগলা তালতলাস্থ ট্রাক টার্মিনালের সামনের রাস্তায় ওই ঘটনায় হাট এলাকায় এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতংকে রয়েছে বেপারীরা।
সোমবার ১৯ জুলাই বিকালে হামলার বিষয়ে হাট ইজারাদার কমিটি মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন।
এমন ঘটনায় ২০ জুলাই মঙ্গলবার সকাল থেকেই চরম আতংকে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বেপারীসহ স্থানীয়রা ।
জানা যায়, পাগলা তালতলাস্থ টার্মিনালে গরু বাঁধাকে কেন্দ্র করে শ্রমিক লীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশ রোববার দুপুর ১টার দিকে চিহ্নিত সন্ত্রাসী কিলার আক্তারসহ কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে এসে ফরিদপুর থেকে হাটে আসা খলিল শেখ, ওসমান শেখ, আজগর মোল্লা মোয়াজ্জেম নামক চার গরু ব্যবসায়ীকে মারধর করে এক পর্যায়ে গরু বাঁধার বাঁশ ভাঙচুর করে সেখান থেকে বোপরীদেরকে তাড়িয়ে দেয়।
এদিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখতে পাওয়া যায়। ভিডিওটিতে পলাশকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় এবং তিনি হাট কমিটির লোকজনকে গালমন্দের পাশাপাশি নিজ কমিটির সাধারণ সম্পাদককেও গালমন্দ করেন।
এসময় তিনি বলেন, কোথায় সাধারণ সম্পাদক। পাছায় লাথি মেরে ওর পাছার সব দাঁত ফেলে দেব। আমি সভাপতি হয়ে এখানে এসেছি অথচ সাধারণ সম্পাদক হয়ে সে কার… ফালায়…খারাপ লোক।’
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হাট কমিটি ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তালতলা মাদরাসা সংলগ্ন টার্মিনালের সামনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে তারা বলেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শ্রমিক লীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশ চিন্থিত সন্ত্রাসী পেশাদার কিলার আক্তারসহ কয়েক সহোযোগী সন্ত্রাসীকে নিয়ে তালতলা টার্মিনালের সামনে এসে কয়েকজন গরু ব্যবসায়ীকে মারধর করে এবং গরু বাঁধার বাঁশ ভাঙচুর করে তাদেরকে তাড়িয়ে দেয়।
ফতুল্রার আরেক বিতর্কিত সন্ত্রাসী অসংখ্য মামরার আসামী এবারের হাট ইজারাদার মীর হোসেন মিরু সোমবার বিকালে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, গরু বিক্রেতারা এক অজানা আতংকে রয়েছেন। এভাবে গরু বেপারীকে পেটানো এটা মানুষের কাজ নয়। পলাশ টুপি দাঁড়ি নিয়ে ঘুরলে কি হবে। তার মধ্যে মানবিক বোধ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী জসিমউদ্দিন, কুতুবপুর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হাওলাদার, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি মোজাফফর, আব্দুল হক সিকদার, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ইউনুস দেওয়ান প্রমুখ।
উল্লেখ্য এই পুরো চক্রটির বিরুদ্ধে স্থানীয় ও জেরা পর্যায়ে নানা অপরাধ কর্মকান্ডসহ বিতর্কিত সকল ধরণের কুকর্ম করার অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন যাবৎ । উভয় পক্ষই নানা অপরাধ ও এলাকার আধিপত্য বিস্তারে অস্ত্রের মহড়ায় আতংকে রয়েছে এলাকাবাসী ও বেপাড়ীরা ।









Discussion about this post