নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
সদর উপজেলার তিনটি থানার মধ্যে ফতুল্লা থানার জিআর, সিআর ও সাজা প্রাপ্ত ৩টি ভাগে মোট ১১,১৮৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে । কুতুবপুর ইউনিয়নে রয়েছে প্রায় ২,১৯৫ আসামীর নাম, ফতুল্লায় ২,২৪৫ জন, এনায়েতনগরে ১,৬৪০ জন, কাশিপুরে ১,৪৭৫ জন, বক্তাবলীতে ৬৬৫ জন, মিসিং ২,৯৬৭ জনসহ ১১,১৮৭ জন।
এদিকে প্রয়োজন অনুযায়ী পুলিশের সংখ্যা কম, সময় সল্পতার করণে আসামী চিহিৃত করা সম্ভব হয় না।তাই এবার জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হাতে ১১,১৮৭ জন পলাতক আসামীর গ্রেফতারী পরোয়ানা তালিকা তুলে দিয়েছে পুলিশ। এবং পুলিশের পক্ষ থেকে আসামীদের ধরিয়ে দিতে তাদের কাছে চাওয়া হচ্ছে সহযোগীতাও।
(১২ নভেম্বর ২০১৯) মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানার সভা কক্ষে এক আলোচনা সভায় পরোয়ানা প্রাপ্ত আসামীদের নামের তালিকা তুলে ধরেন।
এ ব্যাপারটি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী জানান, ফতুল্লা থানায় ৮০ থেকে ১‘শ জন পুলিশ অফিসার কাজ করে। সকলেই ৬ মাস, ১ বছর কিংবা ২ বছর কাজ করে চলে যাচ্ছে। তাই এ পুলিশ অফিসার গুলোর পক্ষে অপরাধী যাচাই করা সম্ভব হয় না। তাই আপনারা এলাকার মানুষ, আপনারা চিনেন এরা কারা? তাই উপরস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশে এ গোপন তালিকা আপনাদের হাতে তুলে দিয়েছি। আপনার এগুলো প্রচার করুন। আসামীদের চিহিৃত করে আমাদের জানান।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ফতুল্লা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন, কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, ওসি তদন্ত হাসানুজ্জান, কমিউনিটি পুলিশ ফত্ল্লুা থানা কমিটির সভাপতি মীর মোজাম্মেল আলী, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা ও ব্যবসায়ী তৈয়বুর রহমান প্রমূখ।
এর আগে, গত জুলাই মাসে ২৯ জুলাই ফতুল্লা থানা পুলিশ ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামীদের নামের তালিকা সাটিয়ে ছিল। গত এক মাসে প্রায় ৩ হাজারের মতো গ্রেপ্তারী পরোয়ানা কমিয়ে আনা হয়েছে।









Discussion about this post