নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় গাড়ি ধোয়ার সময় পানির ছিটা পড়াকে কেন্দ্র করে ঐশী কার হাট নামে একটি গাড়ি ক্রয় বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ফতুল্লার মাহমুদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিষ্ঠানের মালিকের দুই ভাইকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে আরও তিনজনকে। ভাঙচুর করা হয়েছে অফিস কক্ষসহ আসবাবপত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় গাড়ি ধোয়ার সময় পথচারী মাসুম ও পারভেজের শরীরের পানির ছিটা পড়ে। এতে তারা ভিজে যান। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মাসুম ও পারভেজ ক্ষিপ্ত হয়ে মাহমুদপুর বড়বাড়ি থেকে দলবল নিয়ে ওই গাড়ির শোরুমে হামলা চালায়।
এ সময় প্রতিষ্ঠানে থাকা কার হাটের মালিক মঞ্জুরের ছোট ভাই মনির হোসেন (৩৬) ও কবির হোসেনকে (৩৪) পেয়ে লোহার রড দিয়ে এবং কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। শোরুমের দুই কর্মচারীসহ তিনজনকে মারধর করা হয়। পরে অফিস ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে চলে যায় তারা।
ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক মঞ্জুর হোসেন বলেন, দেশীয় অস্ত্রসহ ১০থেকে ১২ জন আমাদের শোরুমে এসে হামলা চালায়। বাধা দিতে গেলে আমার দুই ভাইকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। আমার দুই কর্মচারীসহ আরও তিনজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে ক্যাশ থেকে ১৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক আমার দুই ভাইকে ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তাদের ঢামেকে নেওয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, নারায়ণগঞ্জ একটি গাড়ির শোরুম থেকে দুজন আহত হয়ে এসেছে । তাদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা কামাল বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকজন কার হাটে হামলা চালায়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, গাড়ি ধোয়ার সময় স্থানীয় কয়েকজনের শরীরে পানির ছিটা লাগে। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ের ওই প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। ঘটনাস্থলে আমরা পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। মামলা করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।









Discussion about this post