নিজস্ব প্রতিবেদক
পুলিশের চোখে পলাতক হলেও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে সন্ত্রাসী কামরুল ইসলাম কাজল।ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের লাইজু আক্তার মুন্নি নামক এক মহিলা মেম্বার প্রার্থীর পক্ষে বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করতেও দেখা যাচ্ছে তাঁকে।
বুধবার রাতে কাজল নিজ আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি ছবি পোস্ট করে। আর তা নিয়েই সর্ব মহলে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
কাজলের বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজী, মাদক ব্যবসা সহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ। ইতোপূর্বে এসব অভিযোগে একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছিল। গত এক বছর পূর্বে সে অপহরন ও চাঁদাবাজী মামলায় গ্রেফতার হয়। বেশ কিছুদিন কারাভোগের পর কয়েক মাস পূর্বে আদালত থেকে জামিনে বের হয়। জামিনে বের হয়ে সে আবারো কোতালেরবাগ, পাকিস্তান খাদ এলাকাজুড়ে গড়ে তুলে মাদকের বিশাল বাজার সহ সন্ত্রাসের বিশাল নেট ওয়ার্ক।
সর্বশেষ ২০ নভেম্বর রাতে লালপুর পাকিস্তানখাদ এলাকায় চাঁদার দাবিতে সহোদর দুই ভাই শাকিল আহম্মেদ (৩০) ও শামীম আহম্মেদকে(২৮) কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে কাজল ও তাঁর সহযোগরা। এ ঘটনায় আহত শাকিল ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার সাথে জড়িত ২জনকে গ্রেফতার হলেও পুলিশের কাছে ঘটনার মূল হতা সন্ত্রাসী কাজল পলাতক রয়েছে ।
পুলিশের কাছে কাজল পলাতক হলেও মূলত সে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এছাড়া ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার প্রার্থী লাইজু আক্তার মুন্নীর সাথে বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা নেমেছে। গত বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপনের বাড়ীতে লাইজু আক্তার মুন্নীসহ একটি ছবি ভাইরাল হলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে ।









Discussion about this post