নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ৩৫ বছর বয়সী স্বামী পরিত্যাক্তা প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের শিকার হয়ে গর্ভবতী হয়ে পরেছে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী নারীর ভাই বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পাগলা চিতাশাল এলাকার কুসুমবাগ দুই নং গলির খালেক দেওয়ানের ছেলে খলিলুর রহমান (৪২) ও একই এলাকার বজলুর রহমানের ছেলে মো. রাসেলকে (৪৩) আসামী করে বুধবার ২১ এপ্রিল রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।
বাদীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর পূর্বে তার বোনের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু তার বোন প্রতিবন্ধী হওয়ায় দুই মাস পর স্বামী তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। এরপর থেকে তার বোন তাদের নিকট রয়েছে। অপরদিকে ধর্ষক খলিলুর রহমান তাদের বাসায় এক সময় ভাড়া থাকতো এবং চিতাশাল ২নং গলিতে তার একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। পাশাপাশি ধর্ষক রাসেলের ও তাদের পাড়া প্রতিবেশী। সে সুবাধে ধর্ষকেরা তাদের পূর্ব পরিচিত।
মাঝে মধ্যে তার বাবা মা প্রয়োজনীয় ওষুধ আনার জন্য ধর্ষক খলিলুলের দোকানে পাঠাতো। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের জানুয়ারী মাসের ১৭ তারিখ দুপুর ১টায় তার বাবা প্রতিবন্ধী বোনকে ওষুধ আনতে পাঠায়। এ সময় ধর্ষক খলিলুর রহমান তার বোনকে ফুসলিয়ে ওষুধের দোকানের পেছনে রুমে নিয়ে গিয়ে রোগীদের শোবার বেডে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে প্রায় সময় তার বোনকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষক খলিলুর তার বোনকে ধর্ষণ করতো। অপরদিকে জানুয়ারী মাসের ৩১ তারিখ সন্ধ্যায় তার বোন খুপুর বাসায় যাবার পথে পাশের বাড়ীর বজলুর রহমানের পুত্র রাসেল তার বোনকে ফুসলিয়ে নিজ বাসায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। গত কয়েকদিন যাবৎ তার বোন অসুস্থ বোধ করলে চলতি মাসের ১১তারিখে পাগলাস্থ নিউ ডক্টরস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে আলট্রাসনোগ্রাম করালে তার বোনের ৩ মাস এক দিনের গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি ধরা পরে।
ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান জানান, বাদীর লিখিত অভিযোগ তদন্ত করে প্রমান পেয়ে বুধবার রাতে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়। আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।









Discussion about this post