নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে একটি বেসরকারি স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রীকে (৮) ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার ৩দিন পর আজ বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) ধর্ষিতার পরিবার ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ মামলা রেকর্ড করে ধর্ষককে গ্রেফতারে অভিযান চালালেও এর আগেই ধর্ষক পালিয়ে যায়।
ধর্ষকের নাম জামাল (ছদ্মনাম) সে জামালপুর জেলা সদরের বাসিন্দা। সে বর্তমানে ফতুল্লার চাষাঢ়া রেললাইন এলাকায় বাবুল মিয়ার বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করেন। ধর্ষক মতি স্থানীয় দোকানদার সাত্তারের চাচাতো ভাই।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ৫ জুলাই বিকেল ৪ টায় একটি বেসরকারি স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল। এ সময় রাস্তা থেকে শিশুটিকে ধরে মতি তার ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে যায়। এরপর ধর্ষণ শেষে শিশুটিকে সড়কে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় শিশুটি তার প্রাইভেট শিক্ষিকাকে জানান। এরপর শিক্ষিকার কাছ থেকে শিশুটির বাবা মা জানতে পারেন।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি এই বাবুল মিয়ার বাড়িতে অবস্থিত জয়যাত্রা ক্লাব ও মাদক ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ওই বাবুল মিয়ার বাড়িতে মহিলা মাদক ব্যবসায়ী পারভীনও ভাড়া থেকে মাদক ব্যবসা করছে। গত তিনদিন ধরেই এলাকার প্রভাবশালীরা ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। ধর্ষিতার পরিবারকে মোটা অংকের অর্থেরও প্রলোভন দেখায়। পরে মিমাংসা না হওয়ায় ধর্ষিতার পরিবার থানার দ্বারস্থ হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান জানান, ঘটনার কয়েকদিন পর বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে। এরমধ্যে ধর্ষক আত্মগোপন করেছে। চেষ্টা চলছে গ্রেফতারের। শিশুটির বাবা মা দিনমজুরের কাজ করেন।









Discussion about this post