নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান প্রধান সড়কের হাই স্কুল এলাকা, ফলপট্টি এলাকা, ১নং রেলগেইট, বোস কেবিন সংলগ্ন, ফকির টোলা সংলগ্ন, ২নং রেলগেইট ও চেম্বার রোডে সড়কে বসা ফুটপাতের হকারদের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার ১ ডিসেম্বর বিকেল থেকেই শহরের এমন কয়েকটি পয়েন্টে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর আবার শুরু হয়েছে সংযোগ দেয়ার দৌড়ঝাপ ।
এমন অভিযান দেখে শহরের অনেকেই পামাপাশি ক্ষুব্ধ কয়েকজন হ্কার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ফুটপাতে অবৈধ বিদ্যূৎ সংযোগ তা কি কেউ জানেন না ? ডিপিডিসি কি এখন দেখলো আর এখনই কাটলো ! ফুটপাতের অবৈধ দখলদার চক্রের খবর কে না জানে ? নারায়ণগঞ্জের ডিসি, এসপি , ওসি কি এগুলির খবর জানেন না ? কারা এই অবৈধ বিদ্যুৎ থেকে, ফুটপাত থেকে চান্দা (চাঁদা) তুলে তা কি তারা জানেন না ? কোন কোন নেতা , কোন কোন সরকারী কর্মকর্তা, কোন কোন সাংবাদিকরা এই ফুটপাত থেকে চান্দার ভাগ নেয় তা কি কেউ জানেন না ? সকলেই সকল তথ্যই জানেন শুধু সাধারণ জনগণ থোগান্তির মধ্যে পরেন আর ফুটপাতে ব্যবসা করতে এসে এমন নির্যাতন সহ্য করে হকাররা । এই হকারদের রক্ত চোষা টাকায় থানার কতো ওসিদের যে পকেট ভারী হয়েছে তা একেক জন লাইনম্যান আর চান্দাবাজরা্ খুব ভালো করেই জানেন।
ক্ষুব্ধ কয়েকজন হকার আরো বলেন, প্রতিদিনই দেখা যায় পুলিশ শহরের ফুটপাত থেকে হকারদের উচ্ছেদ করতেছে , আবার কিছুক্ষন পর ফুটপাত দখণল হচ্ছে, এই খবর কি পুলিশ জানে না ! জানেন বলেই বসতে দেয়, আবার একেবারেই উচ্ছেদও করে না । এর কারণ হইলো ব্যবসা । হকাররা যদি ফুটপাতে না বসে তরে প্রতি মাসে ওসির পকেটে নিম্নে আড়াই লাখ টাকা কই থেইক্কা যাইবো ! আর বিদ্যুতের লাইনম্যান প্রতি মাসে অবৈধ বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে লাইট প্রতি ১০ টাকা হারে কয়েক লাখ টাকা আদায় করে । যারা লাইন চালায় তারা একেক জন দোকানীর কাছ থেকে ২০/৩০ টাকা হিসেবে চাঁদা নেয় । শহরের লাইনম্যান (যারা চাঁদা আদায় করে ফুটপাত থেকে) গুলিরে ধইরা নিয়া জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বেড়িয়ে আইবো সব খবর । আর যারা কোট টাই পইরা বিদ্যুতের লাইন কাটতে আইছে তারা কি জানে না দীর্ঘদিন যাবৎ এই অপরাধ কারা করছে ? এমন বিদ্যুৎ লাইন কাটা আর ফুটপাত উচ্ছেদ হইলো বানুমতির খেলা ।
অভিযানে ডিপিডিসির এনওসিএস নারায়ণগঞ্জ (পূর্ব) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো: গোলাম মোরশেদের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: মাজেদুর রহমান, রাকিবুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মো: জোনায়েদ হাসান নাজমুল, উপ সহকারী প্রকৌশলী মো: ইশতিয়াক আহম্মেদ, মো: কুদরত আলী, মো: উজায়ের আহম্মেদ প্রমুখ।
অভিযানকালে কয়েক শতাধিক দোকানের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
নির্বাহী প্রকৌশলী মো: গোলাম মোরশেদ জানান, দোকানের মিটার লাইন নিয়ে ফুটপাতে লাইন দেয়া হচ্ছে, সেগুলো যাচাই বাছাই কাজ চলছে। ফুটপাতে যেভাবে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের কারণে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছিল। কালীরবাজার থেকে ২নং রেলগেইট পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে কয়েক শতাধিক দোকান ঘর থেকে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। যারা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছে আমরা তাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করছি। আমরা ইতিমধ্যে শাহজাহান ও তাহের সহ কয়েকজনের নাম জানতে পেরেছি। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরসহ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমাদের অভিযান প্রতি সপ্তাহেই চলমান থাকবে।









Discussion about this post