নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র গলা ফাটিয়ে অনেকেই আওয়ামীলীগ ও বঙ্গবন্ধুর নামে নানা গুণগান করলেও দীর্ঘদিনেও শহরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বিকৃতি করা হলেও কেউ জোড়ালোভাবে এমন কর্মকান্ডর জোড়ালো কোন প্রতিবাদ করছে না কেউ । শোকের মাস আগস্ট আসলেই অনেকেই নানাভাবে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে দোয়া মিলাদসহ নানা আয়োজনের পর নামদারী গণমাধ্যমকর্মীদের কে নিমন্ত্রণ করে বিশেষ আপ্যায়নের পর ফলাও করে প্রচার প্রচারণা চালালেও কেউ খেয়াল ই করেন না বঙ্গবন্ধু নাম বিকৃতির প্রতিযোগিতা চলছে এই শহরে
যে শহরের অনেক নেতারাই দাবী করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওমুক বাড়িতে তমুক বাড়িতে আওয়ামীলীগ গঠন করতে অষংখ্যবার বৈঠক করেছেন । অথচ সেই নারায়ণগঞ্জ শহরেই বিকৃত হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর নাম
নারায়ণগঞ্জ শহরের মূল সড়কে বঙ্গবন্ধুর নামের বিকৃতি চলছে অনেক দিন ধরে। নাম ‘বঙ্গবন্ধু’ সড়ক হলেও বিভিন্ন মার্কেটে ও বিভিন্ন সাইনর্বোডে লেখা বিবি রোড। একাধিকবার এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে জেলা, মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
সূত্র মতে, স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নারায়ণগঞ্জ শহরের মূল সড়কের নামকরণ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, চাষাড়া থেকে মন্ডলপাড়া যেতে বঙ্গবন্ধু সড়কের বাম পাশে জাকির সুপার মার্কেটের শাওমি মোবাইল শোরুমের সাইনর্বোডে সাধু পৌলের গির্জার ভবনে বিবি রোড (বঙ্গবন্ধু) লেখা দেখা যায়। এছাড়াও নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কের আরও অসংখ্য মার্কেটে, সরকারি ও বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডের নিচে বঙ্গবন্ধু লেখার পরিবর্তে বিবি রোড লেখা। সুগন্ধা প্লাসের পাশের বিল্ডিং এর একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানেও একই লেখা। কালীর বাজার মোড়ে সাধারণ বীমা শেখ মুজিবুর রহমানের অফিসের ভবনে লেখা এস.কে বঙ্গবন্ধু’র পরিবর্তে এসকে রোড লেখা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এছাড়াও আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এমনই সব ভুল।
ডি.আই.টি প্লাজায় মা হোটেলের সাইনর্বোডে বিবি রোড লেখা। এ হোটেলের জায়গায় এক সময় বিএনপির স্থানীয় হাই কমান্ড নামে পরিচিত আব্দুল মজিদ কমিশনারের তত্ত্বাবধানে বিএনপি অফিস ছিল। বর্তমানে এ ভবনে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও বিএনপি নেতা হাসান আহমেদের স্ত্রী আফরোজা হাসান বিভার কার্যালয় রয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর নামের এমন বিকৃতি নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নারাযণগঞ্জে এখন আর কোন বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পাটির লোক খুজে পাওয়া যাবে না । সকলেই নিজেদেরকে আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযোদ্ধার পরিবার বলে দাবী করে । খোদ জামাযাত ও রাজাকার পুত্ররা এখন নিজেদের আওয়ামীলীগ ও মক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান বলে শহর-বন্দরে ব্যাপক তান্ডব চালিয়ে উল্টো পোড়া খাওয়া আওয়ামীলীগের পরিবারের উপর হামলাও চালায় ।
দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাসহ ৬২ জনকে হত্যাকান্ডে জড়িত নারায়ণগঞ্জের রাজাকার পুত্ররা বর্তমানে নানাভাবে শহরে ছড়ি ঘুড়িয়ে বেড়াচ্ছে শাসক দলের নেতাদের শের্টারে । ১৪ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জে কুমুদিনী ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স এন্ড ক্যান্সার রিসার্চ (কেআইএমএস কেয়ার) এর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যখন বক্তব্য রাখেন তখন ওই অনুষ্ঠানে চিহ্নিত ওই রাজাকার পুত্র উপস্থিত থাকতে দেখা যায় প্রথম সারিতে । নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর চিহ্নিত একটি চক্রের শেল্টারে এই রাজাকার চক্রের সদস্যরা সুকৌশলে বঙ্গবন্ধুর নাম বিকৃতি করে নিজেদের মনের খায়েশ মেটাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেছেন নগরবাসী । এমন খায়েশ মেটানোর পাশাপাশি শহরে চাউর রয়েছে, রাজাকার পুত্ররা নানাভাবে রাজাকার নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়ার জন্য ব্যাপক তদ্বির চালিযে যাচ্ছে কয়েক বছর যাবৎ ।









Discussion about this post