চালকদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা নিয়মিত প্লেট ভাড়া, প্রতিদিনের চাঁদা, প্রতিমাসে আবার প্লেট ভাড়াসহ নানাভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলেন নেতা নামধারী সন্ত্রাসী চক্র । বন্দরের কিছু কথিত বিশেষ পেশার নামধারীরা এই অবৈধ অটোস্ট্যান্ড থেকে নিয়মিত মাসোহারা নিয়ে থাকে। শাসক দলের এক প্রভাবশালী নেতার কথিত পিএস পরিচয় দানকারী এবং কয়েকজন সন্ত্রাসী চাদাবাজির মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন যাবৎ । এ সময় কয়েকজন অটো চালক ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলে,, ফতুল্লায় একজন লেবাসধারী চাদাবাজ যে স্টাইলে চাদাবাজি করেছে একই স্টাইলে বন্দরে চলছে আমাদের উপর নির্যাতন
বন্দর থানা মিশুক অটোবাইক মালিক ও চালকেরা উপজেলা পরিষদের গেইটের সামনে চাদাবাজ ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেছে।
বুধবার ২৬ আগষ্ট সকালে মিশুক অটোবাইক চালকেরা বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুক্লা সরকারের সাথে সাক্ষাৎ করে বলেন, আমরা বন্দর থানাধীন প্রায় পাঁচশত মিশুক অটোবাইক শ্রমিকেরা এই মিশুক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। এটি চালিয়ে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাই ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করিয়ে থাকি। এখন আমাদের পেটে লাথি মারা হচ্ছে। মিশুকগুলো বন্দর থানার বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করলেও বন্দরের নানা এলাকা থেকে যাত্রী নিয়ে বন্দর খেয়া ঘাটে যেতে পারিনা। গত কয়েকদিন যাবৎ বন্দর খেয়া ঘাটে গেলে কিছু লোক ওখানে আসতে নিষেধ করে ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে থাকে এবং মিশুক গুলোকে জবরদস্তি আটকে রাখে এবং মিশুক চালকদের মারধর করে।
মিশুক চালকেরা বলেন, আমরা এ থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই, আমাদের বাঁচান নয়তো আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শুক্লা সরকার তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, আমি পরিবহন নেতাদের সাথে আলাপ সাপেক্ষে আপনাদেরকে প্রশাসনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে দিবো। আপনারা মিশুক অটোবাইক বন্ধ না করে আমাদের বন্দরে আরো যে ৯টি ওয়ার্ড আছে, সেখানে আপনারা মিশুক চালাতে পারবেন, যেখানে সমস্যা আছে সেখানে সমাধান করে দিবো। আমি অবশ্যই দেখবো।
এরপর আন্দোলনরত মিশুক চালকগন মিছিল করে ফরাজীকান্দা রেল লাইনে এসে জড়ো হয়। নেতৃত্বে ছিলেন হাজী মহিউদ্দিন, চঞ্চল মাহমুদ, মাসুদ আলম, জসিম উদ্দিন, সেলিম মিয়া, রাজিব, ফয়সাল, তমিজউদ্দিন প্রমুখ।








Discussion about this post